বুধবার, ৬ মে, ২০১৫ ০০:০০ টা

দোদুল্যমান ভোটারে নজর সব দলের

ব্রিটেনে পার্লামেন্ট নির্বাচন কাল

রাত পোহালেই ব্রিটেনে শুরু হবে ভোটযুদ্ধ। কিন্তু আগামীকালের পার্লামেন্ট নির্বাচনের মাঠে কোন দলের বৃহস্পতি তুঙ্গে থাকবে তা এক দিন আগেও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কারণ, এটা মোটামুটি নিশ্চিত, এবারও কোনো দল সরকার গঠনের জন্য একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না। নির্বাচনপূর্ব জরিপগুলো আভাস দিয়ে যাচ্ছে যে, ফের জোট সরকারের নিয়ন্ত্রণেই যাচ্ছে ব্রিটেন। যেহেতু একক কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না, তাই শেষ মুহূর্তের প্রচারে ঘাটতি রাখতে চাচ্ছে না কোনো পক্ষ। জরিপগুলোয় বলা হয়েছে, প্রায় ৩০ শতাংশ ভোটার এখনো সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন। তারা কাকে ভোট দেবেন, তা ঠিক করে উঠতে পারেননি। তাই শেষ মুহূর্তে সব দলই পাখির চোখ করেছে এই ভোটারদের। যারা এসব ভোটারকে নিজেদের পক্ষে বেশি টানতে পারবেন সে দলের পাল্লাই ভারী হবে। বিভিন্ন জরিপে কনজারভেটিভ পার্টি ও লেবার পার্টির জনপ্রিয়তা সমান-সমান কিংবা উনিশ-বিশ বলা হচ্ছে। পাশাপাশি অন্য ছোট দলগুলোর উত্থানেরও পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে। তবে দোদুল্যমান ভোটাররা শেষ মুহূর্তে কোন দলের দিকে ঝুঁকবেন সে ব্যাপারে কিছু আঁচ করা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় এ নীরব ভোটাররাই নির্বাচনে ফ্যাক্টর হয়ে উঠতে পারেন বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন। বড় দুই দলই এখন এসব ভোটারকে নিজেদের পক্ষে টানতে মরিয়া হয়ে প্রচার চালাচ্ছে। সশরীরে হাজির হয়ে প্রচারের চেয়ে ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচারকে গুরুত্ব দিচ্ছে উভয় পক্ষ। পরস্পরের যোগ্যতা-অযোগ্যতা ও নিজেদের কর্মসূচি তুলে ধরে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছে তারা।
সোমবার কনজারভেটিভ পার্টির ডেভিড ক্যামেরন ও লেবার পার্টির এড মিলিব্যান্ড দিনভর প্রচার চালিয়েছেন। মিলিব্যান্ড প্রতিপক্ষের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, ক্যামেরন সরকার গত চার বছরে এনএইচএসকে (ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস) ধ্বংস করে দিয়েছে। লেবার পার্টি ক্ষমতায় গেলে এ খাতে কী কী উন্নয়ন করা হবে, এনএইচএসকে নিয়ে তার দলের পরিকল্পনার কথা ভোটারদের সামনে তুলে ধরেন তিনি। আর ডেভিড ক্যামেরন অভিযোগ করেন, এর আগে লেবার সরকার দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছিল। তিনি ভোটারদের সামনে তার দলের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরেন। ব্রিটেনের পার্লামেন্টের নিুকক্ষ হাউস অব কমন্সের আসন ৬৫০টি। সরকার গঠনের জন্য দরকার ৩২৬টি। ব্রিটেনের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান ১ মে নির্বাচন নিয়ে একটি জরিপ প্রকাশ করে। সে জরিপের ফল অনুযায়ী লেবার পার্টি ২৬৭ ও কনজারভেটিভ পার্টি ২৭৬টি আসন পেতে পারে বলে ধারণা দেওয়া হয়েছে। তবে জরিপে কনজারভেটিভরা এগিয়ে থাকলেও তাদের শরিক দল লিবডেম কিন্তু এবার অনেক পিছিয়ে আছে।

সর্বশেষ খবর