বুধবার, ৬ মে, ২০১৫ ০০:০০ টা

পিয়ানো বাজিয়ে আজান, বিতর্কে মালয়েশীয় ব্লগারের ভিডিও

পিয়ানো বাজিয়ে আজান, বিতর্কে মালয়েশীয় ব্লগারের ভিডিও

পিয়ানো বাজিয়ে অশুদ্ধ ভাষায় আজানের এক ভিডিও ফেসবুকে প্রচার করে তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন মার্কিন-প্রবাসী মালয়েশিয়ান এক ব্লগার।

এর আগেও অ্যালভিন ট্যান নামের এই চীনা-বংশোদ্ভূত ব্লগারের নানা ধরনের পোস্ট সমালোচিত হয়েছে। তিনি নিজেকে নানা সময় 'সেক্স-ব্লগার', 'এজেন্ট প্রোভোকেটিউর', 'সমস্যা সৃষ্টিকারী' এবং 'বাকস্বাধীনতার জন্য আন্দোলনকারী' ইত্যাদি বলে পরিচয় দিয়েছেন।

ট্যান এক বছর আগে আমেরিকায় পালিয়ে যান এবং এখন তিনি ক্যালিফোর্নিয়ায় বাস করছেন। সেখান থেকেই সবশেষ এই 'আজান' ভিডিও পোস্ট করেছেন তিনি। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, খালি গায়ে সানগ্লাস চোখে ট্যান পিয়ানো বাজিয়ে আজানের কথাগুলো ভুলভাল ভাষায় গাইছেন।

ভিডিওর নিচে ট্যান লিখেও দিয়েছেন: "দয়া করে আমাকে গানের কথার ভুলের জন্য বিরক্ত করবেন না। প্রথমত, এটি একটি কভার, তাই এখানে সৃষ্টিশীল পরিবর্তনের অনুমোদন আছে। দ্বিতীয়ত, আমি আত্মঘাতী বোমাবাজ নই।" ভিডিওটি চার লক্ষেরও বেশি বার দেখা হয়েছে।

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ মালয়েশিয়ায় এই ভিডিওটি তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে। একজন লিখেছেন, "অ্যালভিন ট্যান, তোমার লজ্জা হওয়া উচিত, এটি হচ্ছে আমার দেখা সবচেয়ে মারাত্মক অপমানের একটি"। আরেকজন লিখেছেন, "জঘন্য"। তবে একজন আবার লিখেছেন, "ভিডিওটা ভালোই হয়েছে। আমি একজন মুসলিম, তবে আমার মোটেও রাগ হচ্ছে না।" তিনি আরও বলেছেন "ব্রাদার, একদিন তুমি আমাদেরই একজন হবে।"

মালয়েশিয়ার জনসংখ্যার প্রায় ৬০ শতাংশই মুসলিম। তবে দেশটিতে বহু ধর্ম ও জাতিগোষ্ঠীর লোকের বাস। মালয়েশিয়ার এক-পঞ্চমাংশ মানুষ হচ্ছেন ট্যানের মতো চীনা বংশোদ্ভূত।

দুই বছর আগে ট্যান এবং তার বান্ধবী রমজান মাসকে অবমাননা করা এবং ইন্টারনেটে পর্নোগ্রাফিক ছবি পোস্ট করার দায়ে বিচারের সম্মুখীন হন। তাকে সেসময় গ্রেফতারও করা হয়েছিল।

ট্যান বলছেন, তিনি ধর্মনিরপেক্ষ উদারনৈতিক মূল্যবোধের পক্ষে, তার গ্রেফতার প্রমাণ করে মালয়েশিয়ায় মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই। কিন্তু অ্যালভিন ট্যানের কাজকর্ম এমনকি অমুসলিমদের সবার কাছেও সমর্থন পায় নি। একজন টুইটারে লিখেছেন, "অ্যালভিন ট্যান বেশি বাড়াবাড়ি করছেন, তার কাজ মালয়েশিয়ার চীনা সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করে না। কাজেই তার নিন্দা করুন, ঢালাওভাবে চীনাদের নয়।" অপর একজনের মন্তব্য, "ট্যানের সঙ্গে ধর্মীয় উগ্রপন্থীদের বিশেষ কোন পার্থক্য নেই।"

এমন সমালোচনাও অনেকে করেছেন যে আমেরিকায় রাজনৈতিক আশ্রয় পাবার যাতে সুবিধে হয়, সেজন্যই ট্যান এসব ভিডিও পোস্ট করছেন। বিবিসি বাংলা।
 

 

বিডি-প্রতিদিন/ ০৬ মে, ২০১৫/ রশিদা

সর্বশেষ খবর