শুক্রবার, ২৬ জুন, ২০১৫ ০০:০০ টা

চার কন্যায় বিজেপিতে অস্বস্তি

চার কন্যায় বিজেপিতে অস্বস্তি

সম্প্রতি চার কন্যা নিয়ে বিজেপিতে অস্বস্তি বেড়েছে। ললিত-সুষমা ভিসা বিতর্ক কাণ্ডে এবার টলমল বসুন্ধরার আসনও। অন্যদিকে মহারাষ্ট্রে দুর্নীতির ফাঁসে পঙ্কজা মুন্ডে। আর ভুয়া শিক্ষা সনদ নিয়ে বিতর্কে স্মৃতি। এভাবে একের পর এক কেলেঙ্কারিতে যুক্ত হচ্ছে বিজেপি নেতাদের নাম

পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ : সুষমা স্বরাজের বিরুদ্ধে আইপিএলে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ললিত মোদিকে বিদেশে ভিসা পেতে সাহায্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই বিষয়ে একের পর এক নথি সামনে আসার পর সুষমা স্বীকার করেন ললিত মোদিকে তিনি মানবিক কারণে সাহায্য করেছিলেন। কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে থাকা ললিত মোদিকে কেন তিনি সাহায্য করলেন এই প্রশ্নে দেশজুড়ে বিতর্কের ঝড় ওঠে এবং বিরোধীরা সুষমার পদত্যাগের দাবিতে সরব হন।

রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে : আইপিএল কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ললিত মোদির অভিবাসন নথিতে সই আছে বসুন্ধরার। বসুন্ধরার ছেলে দুষ্মন্ত সিং ললিত মোদির কাছ থেকে ১১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা নিয়েছিলেন, সেটাও অনেকটা প্রমাণ হয়ে গেছে। এবাবে ললিত কাণ্ডে বসুন্ধরা দলকে বেকাদায় ফেলে দিয়েছেন।

মহারাষ্ট্রের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী পঙ্কজা মুন্ডে : মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী পঙ্কজা মুন্ডের বিরুদ্ধে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ২০৬ কোটি টাকার ছাড়পত্র দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করে কংগ্রেস। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেন মন্ত্রী। প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গোপীনাথ মুন্ডের মেয়ে তথা মহারাষ্ট্রের নারী ও শিশু উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী পঙ্কজা মুন্ডের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কোনো দরপত্র ছাড়াই একই দিনে ২৪টি সংস্থাকে শিশুদের স্কুলের জন্য ২০৬ কোটি টাকার জিনিসপত্র কেনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন তিনি।

মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি : নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে উপর্যুপরি ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী স্মৃতি ইরানির বিরুদ্ধে। আহমের খান নামে এক ব্যক্তি আদালতে অভিযোগ করেন, ২০০৪ সালে রাজ্যসভা এবং ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের সময়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে পরস্পরবিরোধী তথ্য পেশ করেছেন স্মৃতি। আহমেরের দাবি, ২০০৪ সালের হলফনামায় স্মৃতি জানান, তিনি বিএ পাস। আবার লোকসভা ভোটের সময়ে হলফনামায় স্মৃতি লেখেন, তিনি বি-কম প্রথম বর্ষ পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। বিষয়টি এখন আদালতের বিচারাধীন রয়েছে।

এদিকে ললিত মোদির অভিবাসন নথিতে সই বসুন্ধরা রাজেরই। এমন দাবি করেছে কংগ্রেস। সাত পাতার নথি পেশ করে কংগ্রেসের দাবি, ২০১১ সালে ওই নথিতে সই করেছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী। এর আগ পর্যন্ত লাগাতার সই করার অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন বসুন্ধরা। এই নথি সামনে আসায় রীতিমতো অস্বস্তিতে বিজেপি। বুধবার মোট সাত পাতার একটি নথি পেশ করেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। তারিখের জায়গায় লেখা ২০১১ সালের ১৮ অগাস্ট। উপরে বসুন্ধরা রাজের সই। জি নিউজ।

 

সর্বশেষ খবর