মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫৮তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আগামী বছর অনুষ্ঠিত হবে। আর এতে নির্বাচিত হবেন দেশটির ৪৫তম প্রেসিডেন্ট। আগামী বছরের নভেম্বরে নির্বাচন। আর বছরের প্রথম দিকে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করবে। তবে তার আগে চলতি বছরই লড়াইয়ের প্রস্তুতি শুরু করেছেন বেশ কয়েকজন। এরই ধারায় ডেমোক্রেটিক দলের প্রথম প্রেসিডেনশিয়াল বিতর্কে মুখোমুখি হয়েছেন হিলারি ক্লিনটন ও তার প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী হিসেবে পরিচিতি পাওয়া বার্নি স্যান্ডার্স। বিতর্কে অস্ত্র আইন নিয়ে স্যান্ডার্সের অবস্থানের তীব্র সমালোচনা করেন হিলারি। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আয়োজিত এ বিতর্কে ওয়াল স্ট্রিট সংস্কার, অস্ত্র নিরাপত্তা ও আমেরিকান পুঁজিবাদের সংজ্ঞাসহ অনেক বিষয়ই উঠে আসে। এতে হিলারি ও স্যান্ডার্স ছাড়াও প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মেরিল্যান্ড গভর্নর মার্টিন ও’মেলে, রোড আইল্যান্ডের সাবেক গভর্নর লিঙ্কন চাফি উপস্থিত ছিলেন। বিতর্কে হিলারি ও স্যান্ডার্স একে অপরের সরাসরি সমালোচনার পাশাপাশি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দেশের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। এ সময় হিলারি ক্লিনটনের ই-মেইল বিতর্কের বিষয়টিও উঠে আসে। জবাবে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এক্ষেত্রে তিনি কোনো ভুলই করেননি। বিষয়টি থেকে অন্যদিকে দৃষ্টি ফেরানো এখন সময়ের দাবি। সঙ্গে সঙ্গে স্যান্ডার্স বলে ওঠেন, হিলারি ঠিকই বলেছেন। আপনার এই ই-মেইল বিতর্কের কথা শুনতে শুনতে আমেরিকার মানুষ ক্লান্ত ও অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এ সময় বার্নি স্যান্ডার্সকে ধন্যবাদ জানান হিলারি। তারা পরস্পরের সঙ্গে হাতও মেলান। বিতর্কের এক পর্যায়ে যখন ইরাক-যুদ্ধ ইস্যুটি উঠে আসে, তখনই চাপে পড়ে যান হিলারি। অংশ নেওয়া সব প্রতিদ্ব›দ্বীই ২০০২ সালে ইরাক যুদ্ধের পক্ষে সমর্থন দেওয়ার জন্য তার ব্যাপক সমালোচনা করেন। এ সময় তার পররাষ্ট্রনীতি নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়। শেষ পর্যন্ত হিলারি বলেন, আমি এখানে কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছি। চারদিক থেকে বিভিন্ন ইস্যু ছুটে আসছে। আমি একজন প্রগতিশীল মানুষ। তবে সেই ধরনের মানুষই আমি, যে সব কিছু সম্পন্ন হওয়া দেখতে ভালোবাসে। এএফপি।