২০১৭ সালের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোতে ৩০ লাখ শরণার্থী পৌঁছবে বলে ধারণা করছে ইউরোপীয় কমিশন। এর জনসংখ্যার ইতিবাচক মূল্যায়ন করছে ইইউ। এ বিপুল জনশক্তিকে কাজে লাগাতে পারলে দীর্ঘমেয়াদে ইইউর অর্থনৈতিক উৎপাদন বাড়বে এবং অর্থব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটবে বলেই মনে করছে ইউরোপীয় কমিশন। বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শরণার্থীদের কারণে ইইউয়ের অর্থনীতিতে সামান্য হলেও এ ইতিবাচক প্রভাব পড়ার পূর্বাভাস দিয়েছে ২৮-জাতির এ ব্লকটির নির্বাহী শাখা। তাদের হিসাবমতে, চলতি বছর ইইউ দেশগুলোতে পৌঁছবে ১০ লাখ আশ্রয়প্রার্থী। আরও ১৫ লাখ শরণার্থী পৌঁছবে আগামী বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালে এবং ২০১৭ সালে পৌঁছবে ৫ লাখ শরণার্থী। ইউরোপীয় কমিশন বলছে, ইউরোপে আসা মোট শরণার্থীর অর্ধেককেও আশ্রয় দেওয়া গেলে এবং তাদের তিন-চতুর্থাংশ কাজ করার মতো বয়সের হলে ইইউর শ্রমশক্তি এ বছর ০ দশমিক ১ শতাংশ বাড়বে। আর ২০১৬ ও ২০১৭ সাল দুই বছরেই শ্রমশক্তি বাড়বে ০ দশমিক ৩ শতাংশ।
ইইউর দেশগুলোতে আশ্রয় পাওয়া শরণার্থীরা যদি সেসব দেশের নাগরিকদের মতো একইরকম কর্মদক্ষ হয় তাহলে ২০১৬ সালে ইইউর জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) বাড়বে ০ দশমিক ২১ শতাংশ এবং ২০১৭ সালে বাড়বে ০ দশমিক ২৬ শতাংশ। তবে শরণার্থীরা ইইউ দেশগুলোর নাগরিকদের মতো একইরকম কর্মদক্ষ না হলে জিডিপি আগামী বছর কমে দাঁড়াবে ০ দশমিক ১৪ শতাংশে এবং ২০১৭ সালে এ হার দাঁড়াবে ০ দশমিক ১৮ শতাংশে। আর জার্মানির মতো যে ইউরোপীয় দেশগুলো আশ্রয়প্রার্থীদের মূল গন্তব্য সেসব দেশে জিডিপি এবছর খুব বেশি হলে ০ দশমিক ২ শতাংশ বাড়তে পারে। বিবিসি।