শনিবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

‘মুক্তি’র অপেক্ষায় মিয়ানমার

২৪ ঘণ্টাও আর বাকি নেই। এর মধ্যে মিয়ানমারে কয়েক দশকের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সাধারণ নির্বাচন। পুরো দেশ ঘিরে চলছে নির্বাচনী প্রচারণা। যদিও নির্বাচনের দুই দিন আগে অর্থাৎ গতকাল থেকে সব ধরনের নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ ঘোষণা করেছে দেশটির নির্বাচন কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিনের সামরিক শাসনের পর এ নির্বাচনকে ঘিরে আন্তর্জাতিকভাবেও নানা কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। এবারের নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকরাও থাকবে বলে দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। বলা হচ্ছে এটি মিয়ানমারের ‘মুক্তি’র অপেক্ষা। নির্বাচনী প্রচারণায় দেশটিতে প্রার্থীরা সামাজিক মাধ্যমকেও ব্যবহার করছেন। তবে এর মধ্যে কাল অনুষ্ঠেয় ওই নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে দেশটির বিরোধী দলের নেতা অং সান সু চি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। নির্বাচনে তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি (এনএলডি) জিতবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নির্বাচনে মূলত দুটি দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা হবে। তা হলো সু চির এনএলডি ও ক্ষমতাসীন বর্তমান প্রেসিডেন্ট থেন সেইনের ইউনিয়ন সোলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি)। ১৯৯০ সালে সু চির দল প্রথম নির্বাচন করে জয়লাভ করেছিল। কিন্তু সেই নির্বাচনকে পরবর্তীতে সেনাবাহিনী বাতিল করে দিয়ে সেনাশাসন কায়েম করে। সু চিকে দীর্ঘদিন গৃহবন্দী করে রাখা হয়। এরপর ২০১১ সালে সামরিক জান্তা বেসামরিক প্রশাসনের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে।

এদিকে নির্বাচনের আগে সু চি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘তার দলের বিজয়ী হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিন্তু এই নির্বাচন ‘প্রতারণামূলক’ হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে দেশের জনগণের প্রবল আগ্রহ তৈরি হচ্ছে। দেশের কয়েকটি এলাকায় ‘অবৈধভাবে অগ্রিম ভোট প্রদানের’ বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণও তুলে ধরেন তিনি। এদিকে দীর্ঘদিন পর সাধারণ নির্বাচন হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির নির্বাচন কর্মকর্তারা মানুষের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে সঠিকভাবে ভোট দেওয়ার নিয়ম-কানুন শেখাচ্ছেন। এএফপি

সর্বশেষ খবর