সোমবার, ৯ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

মিয়ানমারে গণতন্ত্রে ফেরার ভোট, আজ ফল

মিয়ানমারে গণতন্ত্রে ফেরার ভোট, আজ ফল

ইয়াঙ্গুনে একটি কেন্দ্রে গতকাল অং সান সু চিকে ভোট দিতে দেখা যায় -বিবিসি

মিয়ানমারে বহুল আলোচিত সাধারণ নির্বাচনে  ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। ২৫ বছরের সেনা শাসনের পর এটিই দেশটির প্রথম গণতান্ত্রিক ধারায় সংসদীয় নির্বাচন। গতকাল সহিংসতা ছাড়াই শান্তিপূর্ণভাবে  ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মিয়ানমারের এই সাধারণ নির্বাচনই নির্ধারণ করবে দেশটিতে সামরিক জান্তার নিয়ন্ত্রণাধীন পক্ষ নাকি অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক পক্ষ সরকার গঠন করবে। এদিকে প্রথমবারের মতো ভোট দিতে পেরে দেশটির তরুণ প্রজন্ম বেশ উৎফুল্ল। ইয়াঙ্গুনের একজন তরুণ ভোটার দিনটিকে পরিবর্তনের দিন বলে আখ্যায়িত করে বলেন, আমরা আমাদের দেশের উজ্জ্বল এক পরিবর্তন শুরু করতে পারব। স্থানীয় সময় সকাল ৬টা  থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। ৬ হাজার ৬৫টি বুথে প্রায় ৩ কোটি ভোটার তাদের ভবিষ্যৎ নেতা নির্বাচনের জন্য ভোটে অংশগ্রহণ করেন। ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণে ৮০ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছেন বলে এএফপির বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে। আজ ভোটের ফলাফল প্রকাশ করা হবে। এবারে নির্বাচনে মোট ৯০টি দলের ৬ হাজারের ওপর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বি^তা করছেন। তবে মূলত লড়াই হবে গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন এনএলডি (ন্যাশনাল লিগ ফর  ডেমোক্রেসি) ও ক্ষমতাসীন ইউএসডির (ইউনিয়ন সলিডারিটি ডেভেলপমেন্ট পার্টি) মধ্যে। নোবেলজয়ী সু চি এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারলেও দলের পক্ষে নিয়মিত প্রচারণা চালিয়েছেন। ২৫ বছর পর অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে তার দলই জয়ী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ১৯৯০ সালের নির্বাচনে সূচির এনএলডি বিশাল ব্যবধানে জয়ী হলেও ক্ষমতায় বসতে পারেনি। সেনাবাহিনী তখন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে। তবে এবার এমনটি হবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট থেইন সেইন। এরপরও নির্বাচনে ভোট জালিয়াতির আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ৭০ বছর বয়সী সূচি। নির্বাচনে সূচির দল জয়ী হলেও অবশ্য দেশটির সরকারে  সেনাবাহিনীর ক্ষমতা খর্ব হবে না। ৬৬৪ আসনবিশিষ্ট সংসদে ২৫ শতাংশ সেনাবাহিনীর জন্য বরাদ্দ রয়েছে। এ ছাড়া প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র, সীমান্তরক্ষাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সেনাবাহিনীর হাতেই থাকবে। একই সঙ্গে পরিস্থিতি অনুযায়ী ক্ষমতা দখলের অনুমোদনও রয়েছে তাদের। এ অবস্থায় সেনা সমর্থিত ইউএসডিকে ক্ষমতায় যেতে হলে খুব বেশি ভোট বা আসনের প্রয়োজন হবে না। অপরদিকে এনএলডিকে অন্তত ৬৭ শতাংশ আসনে জয়ী হতে হবে। বিবিসি।

সর্বশেষ খবর