শুক্রবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

আইএসের আয়ের উৎস কী

সবচেয়ে ধনী জঙ্গি গোষ্ঠী মনে করা হয়

ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে গত শুক্রবারের আক্রমণ আবার জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের দিকে বিশ্বের নজর ফিরিয়েছে। আইএস প্যারিস হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেছে, ওই হামলায় অন্তত ১২৯ জন মানুষ নিহত এবং তিন শতাধিক আহত হয়েছেন। বিবিসি বলছে, ইসলামিক স্টেট কে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী জঙ্গি গোষ্ঠী মনে করা হয়। আইএস দাবি করে, তারা ইরাক এবং সিরিয়ায় দখল করা এলাকায় একটি ‘খেলাফত’ সৃষ্টি করেছে, যার আয়তন যুক্তরাজ্যের সমান। এখন প্রশ্ন উঠেছে, আইএস কীভাবে তাদের কার্যক্রম অর্থায়ন করে? তাদের অর্থের উৎস কী?

১. অনুদান : প্রথম দিকে, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা এবং ধনী ব্যক্তি আইএসকে অর্থায়ন করত। এ দাতাগুলো ছিল মূলত সুন্নি সম্প্রদায়ের এবং তারা সিরিয়র সংখ্যালঘু আলাউয়ি সম্প্রদায়ের রাষ্ট্রপতি বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য আইএসকে অর্থ জোগান দিতেন। এসব উৎস থেকে পাওয়া অর্থ ব্যবহার করা বিদেশি যোদ্ধাদের সিরিয়া এবং ইরাকে নিয়ে যাওয়া হলেও, আইএস এখন মোটামুটি স্বয়ং সম্পন্ন হয়ে উঠেছে।

২. জ্বালানি : আমেরিকার অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাব মতে, আইএস ২০১৪ সালে তেল বিক্রি করে ১০ কোটি ডলার আয় করেছে। তারা অশোধিত তেল এবং তেলভিত্তিক সামগ্রী দালালদের কাছে বিক্রি করে, যারা সেগুলো তুরস্ক এবং ইরানে চোরাচালান করে বা সিরিয়ার সরকারের কাছে বিক্রি করে। কিন্তু সম্প্রতি আইএসের তেল স্থাপনাগুলোর ওপর বিমান হামলার ফলে তাদের অর্থের এই উৎস কমে গেছে।

৩. অপহরণ : অপহরণ এই গোষ্ঠীর আয়ের একটি বড় উৎস। আইএস ২০১৪ সালে মুক্তিপণ আদায়ের মাধ্যমে অন্ততপক্ষে দুই কোটি ডলার আয় করে। আইএস থেকে  বেরিয়ে আসা একজন বলেছেন, অপহরণ অভিযান চালানোর জন্য সংগঠনটির একটি স্বতন্ত্র বিভাগ রয়েছে।

৪. চুরি-ডাকাতি, লুট আর চাঁদাবাজি : মার্কিন অর্থ দফতরের তথ্য অনুযায়ী, আইএস তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকার জনগণকে জোর করে চাঁদা দিতে বাধ্য করায় প্রতি মাসে লাখ লাখ ডলার আয় করে।

৫. ধর্মী সংখ্যালঘুদের ওপর কর : আইএস নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ধর্মী সংখ্যালঘুদের একটি বিশেষ কর দিতে বাধ্য করা হচ্ছে।

৬. দাস বিক্রি : আইএস অপহরণকৃত মেয়েদের যৌনদাসী হিসেবে বিক্রি করে অর্থ আয় করেছে। স্থানীয় ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের মানুষের তথ্য অনুযায়ী, যখন আইএস ইরাকের উত্তরে সিনজার শহর দখল করে, তখন তারা হাজার হাজার ইয়াজিদি নারী এবং তরুণীকে বন্দী করে এবং তাদের অনেককে যৌনদাসী হিসেবে ব্যবহার করে। বিবিসি

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর