শিরোনাম
শুক্রবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

আন্দোলন এখন ‘ট্রাম্প হটাও’

আন্দোলন এখন ‘ট্রাম্প হটাও’

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে লড়াইয়ের এখনো টিকিটই পাননি। এরই মধ্যে দিয়ে চলেছেন একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য। যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিম প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে চেয়ে প্রেসিডেন্ট পদে লড়াইয়ের অধিকারই খোয়াতে চলেছেন রিপাবলিকান দলের ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার হোয়াইট হাউস এবং পেন্টাগন থেকে আলাদা বিবৃতিতে মুসলিমবিরোধী মন্তব্যের জন্য তাকে তিরস্কার করা হয়। এরপর গতকাল থেকে তার দলের মধ্য থেকেই বহিষ্কারের চাপ সৃষ্টি হয়েছে। রিপাবলিকান দল নিউইয়র্কের এক ব্যবসায়িকে ট্রাম্পের বিকল্প হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার চিন্তা-ভাবনাও শুরু হয় দলের ভিতর। তবে এত কিছুর পরও ট্রাম্প নিজের অবস্থানে অনড়। এমনকি নতুন করে ঘোষণা দিয়েছেন দলের ভেতর থেকে কেউ তার সমালোচনা করলে তিনি দলই ছেড়ে দেবেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়ালেও প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার জয় নিশ্চিত। ওয়াশিংটন পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বুধবার ট্রাম্প বলেন, যে যা-ই বলুক না কেন, তিনি নির্বাচন থেকে সরবেন না। সাউথ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যে গত সোমবার এক নির্বাচনী সভায় ট্রাম্প বলেন, সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের লক্ষ্যে সাময়িকভাবে হলেও যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে। ওই বক্তব্যের জন্য তিনি বিশ্বে সমালোচিত হয়েছেন। তাকে ‘বিকৃত মস্তিষ্কসম্পন্ন’ আখ্যা দিয়েছেন দলের আরেক মনোনয়নপ্রার্থী ও ফ্লোরিডার সাবেক গভর্নর জেব বুশ।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো দরকার : ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুসলিমবিদ্বেষী মন্তব্যের নিন্দায় যোগ দিয়েছেন কিংবদন্তি মুষ্টিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী। তিনি বলেছেন, ‘যারা নিজেদের ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিল করার জন্য ইসলামকে ব্যবহার করছে মুসলমান হিসেবে আমাদের তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো দরকার।’ বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছেন সাবেক এই মুষ্টিযুদ্ধ চ্যাম্পিয়ন। কেন্টাকির লুইভ্যালে জম্ম নেওয়া ৭২ বছর বয়সী আলী বলেন, ‘আমি একজন মুসলমান। প্যারিসে, সান বের্নাডিনোতে অথবা বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় নিরপরাধ মানুষ হত্যায় ইসলামিক কোনো কিছু নেই।’ ‘সত্যিকারের মুসলমানরা জানে তথাকথিত ইসলামী   জিহাদিদের নির্দয় সহিংসতা আমাদের ধর্মের  মূলগত ধারণাবিরোধী।’ তিনবারের বিশ্ব হেভিওয়েট চ্যাম্পিয়ন আলী ১৯৬৪ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। 

মুসলমানদের পক্ষে জুকারবার্গও : ট্রাম্পের বিতর্কিত মন্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গও তার বিপক্ষে দাঁড়ালেন। তিনি  বলেছেন, গত এক সপ্তাহের ‘ঘৃণার’ পর মুসলমানদের সমর্থনে দাঁড়াতে চায় ফেসবুক। প্যারিসে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর সারা বিশ্বে মুসলমানদের প্রতি যে বিদ্বেষের মনোভাব বাড়ছে, তাতে গভীর উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন জুকারবার্গ। এএফপি, বিবিসি।

সর্বশেষ খবর