শুক্রবার, ১১ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন সু চির সাবেক গাড়িচালক

মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন সু চির সাবেক গাড়িচালক

মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চির ছোটবেলার বন্ধু হতিন কিয়াও। সু চির সবচেয়ে কষ্টের দিনগুলোতে যিনি সবচেয়ে কাছে থেকে সাহস জুগিয়েছেন। তার চেয়েও বড় কথা তিনি একসময় সু চির গাড়িও চালিয়েছেন। তিনি স্বল্পভাষীও এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। সেই বন্ধু হতিন কিয়াওকে মিয়ানমারের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) হয়ে প্রার্থী করেছেন। গতকাল সু চি তার নাম ঘোষণা করেন। হতিন কিয়াও এর আরও পরিচয় হলো তিনি বিখ্যাত কবি ও এনএলডির প্রবীণ নেতা মিন থু উউনের ছেলে। মিয়ানমারে গণতন্ত্রের আন্দোলনের সঙ্গে তিনি ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

দেশটিতে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা নেওয়ার পর ২০০৮ সালে তারা সংবিধান পরিবর্তন করে আইন করে দেশটির প্রেসিডেন্ট হতে হলে তার স্বামী-সন্তান বিদেশি নাগরিক হতে পারবেন না। কিন্তু সু চির স্বামী (প্রয়াত) একজন ব্রিটিশ এবং তার দুই সন্তান ব্রিটিশ নাগরিক। কিন্তু সু চির দল ক্ষমতায় এলেও ওই আইনের কারণে সু চি প্রেসিডেন্ট হতে পারছেন না। এই দুঃসময়ে সু চি তার নিজের ও দেশের স্বার্থে হতিন কিয়াওকেই প্রেসিডেন্ট হিসেবে বেছে নিলেন। মিয়ানমারের সংবিধান অনুযায়ী তিনজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারবেন। এদের মধ্যে পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ থেকে একজন, নিম্নকক্ষ থেকে একজন ও সেনাবাহিনীর জন্য সংরক্ষিত প্রতিনিধিদের মধ্য থেকে একজন। এরপর নির্বাচিত-সংরক্ষিত সব সদস্যদের ভোটে বিজয়ী ব্যক্তিই হবেন প্রেসিডেন্ট। পরাজিত দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ভাইস প্রেসিডেন্ট হবেন। অবশ্য, সু চি এর আগে বলেছিলেন, তার স্থান প্রেসিডেন্টের ‘উপরেই’ হবে।

বিশ্লেষকেরা বলছেন পরিস্থিতি বিবেচনা করে সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন সু চি। বন্ধু ও কাছের মানুষ হতিন কিয়াও প্রেসিডেন্ট হলে তার মাধ্যমেই সু চি দেশ শাসন করতে পারবেন বলে মনে করছেন বিজ্ঞজনেরা। মিয়ানমারের পার্লামেন্টের দুই কক্ষে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য ভোটাভুটি হবে। দুই কক্ষেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে এনএলডির। নভেম্বরে অনুষ্ঠিত মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচনে পার্লামেন্টে ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় এনএলডি। তবে মিয়ানমারের সংবিধান অনুযায়ী, সংসদের এক-চতুর্থাংশ আসন সেনাবাহিনীর জন্য সংরক্ষিত থাকবে। এএফপি, বিবিসি।

সর্বশেষ খবর