শুক্রবার, ১১ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

সংক্ষেপে

ডলফিন সেনা

রুশ সেনাবাহিনীতে যুক্ত হতে যাচ্ছে সামরিক কর্মকাণ্ডে বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত পাঁচটি ডলফিন। কৃষ্ণসাগরে রুশ নৌবহরের বিশেষ তত্পরতা চালানোর কাজে এ ডলফিন বাহিনীকে ব্যবহার করা হবে বলে মস্কো জানায়।

রুশ নৌবাহিনীর জন্য সামুদ্রিক এই প্রাণী সংগ্রহের জন্য ২৪ হাজার ডলারের ঠিকাদারি দেওয়া হয়েছে। ক্রয়সংক্রান্ত রুশ সরকারি ওয়েবসাইট এ তথ্য জানায়।

৫টি ডলফিনের এ বাহিনীতে থাকবে তিনটি পুরুষ এবং দুটি মাদি ডলফিন। রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর নৌবহরের প্রধান ঘাঁটি ক্রিমিয়ার বন্দরনগরী সেভাস্তোপোলে অবস্থিত। এ ঘাঁটিতেই ১ আগস্টের মধ্যে ডলফিন বাহিনীকে সরবরাহ করার কথা রয়েছে। তবে এ ব্যাপারে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সামরিক তত্পরতায় ডলফিন ব্যবহার নতুন কিছু নয়। শীতল যুদ্ধের সময় সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই ডলফিন বাহিনী ব্যবহার করেছে। এ ছাড়া ৯/১১ টুইন টাওয়ার হামলার পর বাহরাইনে ‘অপারেশন এনডিউরিং ফ্রিডম’র সময়ও মার্কিন নৌবাহিনী ডলাফিন ব্যবহার করেছিল। বন্দর বা গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থাপনার আশপাশে ডুবোজাহাজের অবস্থান খুঁজে বের করতে ডলফিন ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া, সাগরে পেতে রাখা মাইন শনাক্তেও ডলফিন ব্যবহার হয়ে থাকে। অনলাইন।

পাঁচ শরণার্থীর মৃত্যু

তুরস্ক থেকে গ্রিসে যাওয়ার সময় শিশুসহ অন্তত পাঁচ শরণার্থী ডুবে মারা গেছে বলে জানিয়েছে দেশটির বার্তা সংস্থা দোগান। নৌকাটি বুধবার রাতে তুরস্ক উপকূল থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে ডুবে যায়।

নৌকায় আফগান ও ইরানি শরণার্থীরা ছিল। তুরস্কের কোস্টগার্ডের সদস্যরা ৯ জন শরণার্থীকে বাঁচাতে সক্ষম হয়। এই ঘটনায় এখনো দুজন শরণার্থী নিখোঁজ রয়েছে। সোমবার তুরস্ক উদ্ভূত এই সংকট নিরসনে একটি চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে।  ইউরোপীয় ইউনিয়নের  নেতারা ১৭ ও ১৮ মার্চ অনুষ্ঠেয় একটি শীর্ষ সম্মেলনে এই চুক্তিটি চূড়ান্ত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। সিরিয়ায় ৫ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের কারণে শরণার্থীরা উন্নত জীবনের আশায় ইউরোপে পাড়ি  দেওয়ার জন্য তুরস্ককে প্রধান ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করছে। গত বছর গ্রিস থেকে প্রায় ৮ লাখ ৫০ হাজার শরণার্থী তুরস্কে পৌঁছল। চলতি বছরেই এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি লোক এভাবে তুরস্কে পৌঁছেছে। এএফপি।

২২ হাজার জঙ্গির তথ্য ফাঁস

জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) ২২ হাজার সদস্যের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর ও পরিবারের তথ্য ফাঁস করে দিয়েছে সংগঠনটির সাবেক কিছু সদস্য। যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে তথ্য ফাঁস হওয়া এই সদস্যদের পুরো তালিকা তাদের হাতে রয়েছে। সংবাদ মাধ্যমটি নিজেদের ওয়েবসাইটে জানায়, আইএসের আন্তঃনিরাপত্তা পুলিশের তথ্যভাণ্ডার থেকে তথ্যগুলো চুরি করেছেন সাবেক ওই সদস্যরা। খবরে আরও জানানো হয়, ইউরোপের উত্তরাঞ্চল, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকজন জঙ্গি আইএসে রয়েছেন, যাদের ব্যাপারে এর আগে জানা ছিল না। তথ্য ফাঁসের এ খবরে ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা, দুনিয়াজুড়ে যা এমআই-সিক্স নামে পরিচিত, তার গ্লোবাল টেরোরিজম অপারেশন্স বিভাগের সাবেক পরিচালক রিচার্ড ব্যারেট টুইট করে বলেছেন, আইএসে যোগ দেওয়া জঙ্গিদের ব্যাপারে জানতে এ তথ্য বিশেষ সহায়তা করবে। বিশ্লেষকদের জন্য এটি এক অমূল্য উৎস হতে চলেছে। এএফপি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর