বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

তৃণমূলকে টক্কর দিতে প্রস্তুত বাম-কংগ্রেস জোট

বিধানসভা নির্বাচন

দীপক দেবনাথ, কলকাতা

সাকুল্যে আর চার দিন। এর পরেই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। আর ৪ এপ্রিল থেকে শুরু সেই নির্বাচনে এবার মমতা ব্যানার্জির ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসকে খালি মাঠে ছেড়ে দিতে একদম নারাজ এক সময়ে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা বাম দল। তারা কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে নিঃশ্বাস ছাড়ছে তৃণমূলের ঘাড়ে। যদিও ২০১১ সালের নির্বাচনে কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূল বিপুল জয়ে সরকারে এসেছিল। কিন্তু গতবারের জোট সঙ্গী কংগ্রেস এখন তৃণমূলের প্রধান প্রতিপক্ষ বামদের হাত ধরেছে। বামরা এর আগে ৩৪ বছর শাসনে ছিল। কিন্তু গত বিধানসভার নির্বাচনে তৃণমূল ঝড়ে কার্যত বিপর্যস্ত হওয়ার পর বামদের মনোবলও তলানিতে এসে ঠেকেছিল। ওই নির্বাচনে মাত্র ৬০টি আসন পেয়েছিল বামরা। এবারের নির্বাচনে সেই সংখ্যাটা ধরে রাখাও যথেষ্ট কঠিন ছিল বামদের কাছে। এরকম একটা সময়ে দুই পক্ষের জোট যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ। জোট হওয়ার পরই জোট প্রার্থীরা তৃণমূলকে পরাস্ত করতে একেবারে আধা পানি খেয়ে প্রচারণায় নেমে পড়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, জোটের ফলে ২৯৪টি আসনের মধ্যে বেশ কয়েকটি আসনে কঠিন লড়াইয়ের মুখোমুখি হতে পারেন শাসক দলের হেভিওয়েট প্রার্থীরা। এমনকি হেরেও যেতে পারেন বলে জরিপে উঠে এসেছে। এসিনিয়েলসন ও এবিপিআনন্দ- যৌথ জরিপে যাদবপুরের তৃণমূল প্রার্থী বর্তমান মন্ত্রী মণীশ গুপ্তকে হারিয়ে দিতে পারেন বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী সুজন চক্রবর্তী, ভোটের মুখে জার্সি বদল করে তৃণমূলে যোগ দেওয়া রেজ্জাক মোল্লা জোট প্রার্থীর কাছে হেরে যেতে পারেন। বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের চেয়ে সামান্য এগিয়ে জোট প্রার্থী কৌস্তভ চট্টোপাধ্যায়। উত্তর হাওড়া কেন্দ্রে তৃণমূলের লক্ষীরতন শুক্লা ও বিজেপি প্রার্থী রূপা গাঙ্গুলিকে হারিয়ে দিতে পারেন জোট প্রার্থী সন্তোষ পাঠক যদিও ভবানীপুর কেন্দ্রে জোট প্রার্থী দীপাকে হারিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরই জয়ের সম্ভাবনা।

সর্বশেষ খবর