শুক্রবার, ১ এপ্রিল, ২০১৬ ০০:০০ টা

সু চির জন্য সৃষ্টি হচ্ছে বিশেষ পদ

সু চির জন্য সৃষ্টি হচ্ছে বিশেষ পদ

মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চি-র জন্য প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকার মতো  নতুন একটি পদ তৈরি করছে দেশটির নতুন সরকার। পার্লামেন্টে তোলার জন্য  দেশটির নতুন সরকারের তৈরি করা একটি প্রস্তাব পর্যালোচনা করে বলে গণমাধ্যম জানিয়েছে ।

 গেল বছর মিয়ানমারের ঐতিহাসিক সাধারণ নির্বাচনে সু চি-র ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) পার্টি ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও সাংবিধানিক বিধিবিধানের কারণে সু চি দেশটির  প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি।

নতুন এই পদটি ‘রাষ্ট্র উপদেষ্টা’ ধরনের কিছু হতে পারে। অতিরিক্ত পদ সৃষ্টির প্রস্তাব সম্বলিত খসড়া প্রস্তাবটি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পার্লামেন্টে উত্থাপন করা হতে পারে। খসড়া প্রস্তাবে ‘রাষ্ট্র উপদেষ্টার’ পদটি তৈরি করে এর জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল জোগান দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এবং পদটি অং সান সু চি পূরণ করবেন বলে প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবিত এই পদ সৃষ্টি হলে সু চি-কে সরকারের সব ধরনের প্রধান ইস্যুগুলো নিয়ে কাজ করার ও যা করতে চান তাই করার সুযোগ করে  দেবে। সু চি-র জন্য তৈরি নতুন এই পদটি অন্যান্য দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদের মতোই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বুধবার সকালে নতুন সরকার শপথ নেওয়ার পর প্রধান তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সরাসরি সু চি-র অধীনে চলে গেছে এবং তিনি নতুন  প্রেসিডেন্ট থিন কিয়াওকে নির্দেশনা দেবেন বলে বলা হয়েছে। নতুন সরকারে সু চি দাপ্তরিকভাবে পররাষ্ট্র সম্পর্কিত বিষয়াবলী,  প্রেসিডেন্ট দপ্তর, শিক্ষা এবং জ্বালানি ও বিদ্যুৎ বিষয়ক দায়িত্বে আছেন। ৫০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে কিয়াও-ই মিয়ানমারের প্রথম নির্বাচিত বেসামরিক  নেতা। শপথ গ্রহণ করে ৬৯ বছর বয়সী কিয়াও দেশের জনগণের প্রতি ‘বিশ্বস্ত’ থাকার অঙ্গীকার করেছেন। কোনো প্রার্থীর বিদেশি নাগরিক স্বামী/স্ত্রী এবং সন্তান থাকলে মিয়ানমারের সংবিধান অনুযায়ী তিনি দেশের প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হতে পারবেন না। সু চি-র দুই সন্তান ব্রিটিশ নাগরিক। সাংবিধানিক বাধা থাকায়  প্রেসিডেন্ট হতে না পারলেও প্রেসিডেন্ট তার অধীনেই থাকবেন বলে জানিয়েছেন সু চি। বিবিসি

সর্বশেষ খবর