যে সব কোম্পানির কোনো ভিত্তি নেই। কিন্তু কাগজে কলমে নাম আছে। যে কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতে কোনো কর দিতে হয় না। এ ধরনের কোম্পানিরও স্বর্গরাজ্য নিউজিল্যান্ডও। পৃথিবীতে তোলপাড় দৃষ্টি করা পানামা পেপার্সের দ্বিতীয় দফায় ফাঁস করা তথ্যে বিষয়টি জানানো হয়েছে। গতকাল প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, লাতিন আমেরিকার বিত্তবানেরা বিশ্বজুড়ে তাদের তহবিল ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে এই দেশটিকেই চ্যানেল হিসেবে ব্যবহার করে। পানামা-ভিত্তিক ল’ ফার্ম মোস্যাক ফনসেকার ফাঁস হওয়া নিউজিল্যান্ড সম্পর্কিত ৬১ হাজারেরও বেশি নথি বিশ্লেষণ করেছে স্থানীয় গণমাধ্যম। ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডের নতুন আইনি ব্যবস্থার কারণে মোস্যাক ফনসেকা দেশটির প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠে। করমুক্ত, গোপনীয়তা রক্ষা এবং আইনি নিরাপত্তার কারণে দেশটি যে ব্যবসার জন্য অত্যন্ত উপযুক্ত সেই বিষয়টি প্রতিষ্ঠা করতে শুরু করে। রেডিও নিউজিল্যান্ড, টিভিএনজেড এবং অনুসন্ধানী সাংবাদিক নিকি হ্যাগার তাদের এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করেছেন। নিউজিল্যান্ডের রবার্ট থম্পসন হচ্ছেন মোস্যাক ফনসেকার মূল মাধ্যম। অ্যাকাউন্টেন্ট ফার্ম বেন্টলিস নিউজিল্যান্ডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক থম্পসন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পানামা পেপার্সের ৪,৫০০ নথিতে থম্পসনের নাম রয়েছে। তবে রেডিও নিউজিল্যান্ডকে থম্পসন বলেন, নিউজিল্যান্ডের সব বিদেশি ট্রাস্ট বেআইনি উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয় যা ভিত্তিহীন এবং মূলত অজ্ঞতাপ্রসূত।’