সোমবার, ২৫ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা
মিউনিখে বিপণিবিতানে হামলা

স্কুলে রক্তাক্ত হামলা টানত আলিকে

স্কুলে রক্তাক্ত হামলা টানত আলিকে

মোমবাতি প্রজ্বালন করে এক শিশু নিহতদের স্মরণ করে—এএফপি

লেখক পিটার ল্যাঙ্গম্যানের একটা বই আছে। নাম ‘হোয়াই কিডস কিল : ইনসাইড দ্য মাইন্ডস অব স্কুল শুটারস’। এ বইটা নিয়ে রীতিমতো গবেষণা করেছিল জার্মানির মিউনিখে হামলা চালানো ইরানি কিশোর আলি ডেভিড সনবোলি। অনেকটা ‘গবেষণা’ করেছিল বিশ্বের নানা প্রান্তের নানা স্কুলে বন্দুকবাজদের হামলার ঘটনা নিয়েও। কারণ ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের গুলি করে খুন করার মতো নৃশংস ঘটনা ভীষণভাবে টানত তাকে। আর সম্ভবত সে জন্যই ফেসবুকে এক মহিলার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে নিখরচায় খাওয়া-দাওয়ার জন্য শুক্রবার সে ম্যাকডোনাল্ড রেস্তোরাঁয় ডেকেছিল অল্প বয়সী ছেলেমেয়েদের। টোপ দেওয়ার জন্য আবার লিখেছিল, ‘আমি এমন কিছু দেব, যেটা তোমরা চাও।’

এই আলি মিউনিখের অলিম্পিয়া শপিংমলে হামলা চালিয়ে মেরে ফেলেছে নয়জনকে। নিহতের মধ্যে সাতজনই কিশোর-কিশোরী বলে জানিয়েছে পুলিশ। আহত ২৭ জনের বেশির ভাগই অল্প বয়সী। ফ্রান্সের নিস, জার্মানির উয়েজবার্গের পরে মিউনিখ। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে তিন-তিনটে হামলা কাঁপিয়ে দিয়েছে ইউরোপকে। তবে আগের দুটো ঘটনার সঙ্গে ইসলামী জঙ্গি সংগঠন আইএসের যোগ থাকলেও তৃতীয়টিতে এসে ধাক্কা খাচ্ছে পুলিশ। ধোঁয়াশা এতটাই যে শপিংমলের ওই বন্দুকবাজকে জঙ্গি আখ্যা দেওয়া হবে কি না, তা নিয়েও সংশয়ে রয়েছে পুলিশ।

তবে একটি বিষয়ে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হতে পেরেছে পুলিশ; আর সেটা হলো, নরওয়ের হামলাকারী অ্যান্ডার্স বেহরিং ব্রেইভিকের বিশাল ভক্ত ছিল কিশোর আলি। তার হোয়াটসঅ্যাপের ডিপি (ডিসপ্লে পিকচার)-তেও রয়েছে ব্রেইভিকেরই ছবি। পাঁচ বছর আগের ২২ জুলাই নরওয়ের অসলোতে একা হামলা চালিয়ে সত্তরেরও বেশি মানুষকে মেরে ফেলেছিল ওই জঙ্গি। আর সে ঘটনার পাঁচ বছর পূর্তির দিনটা হয়তো নিজের হামলার জন্য ইচ্ছে করেই বেছেছিল আলি। ঘাতকের পরিচয় পাওয়ার পর পরই তার বাবা-মায়ের অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালিয়েছিল পুলিশ। এএফপি

সর্বশেষ খবর