এবার জার্মানির রাজধানী বার্লিনে বেপরোয়া গতিতে মার্কেটের ভিতরে ট্রাক ঢুকিয়ে অন্তত ১২ জনকে হত্যা করেছে এক দুর্বৃত্ত। একে ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন দেশটির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মের্কেল। মাস পাঁচেক আগে ফ্রান্সের নিস শহরে মানুষের ভিড়ে লরি চালিয়ে ৮৬ জনকে হত্যা করা হয়েছিল। ওই ঘটনার সঙ্গে বার্লিনের ঘটনার মিল খুঁজে পাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। স্থানীয় সময় সোমবার রাত সোয়া ৮টায় বার্লিনের কেন্দ্রস্থলে এক মার্কেটে ট্রাক নিয়ে ঢুকে পরে ওই দুর্বৃত্ত। ট্রাকের ধাক্কা ও চাকায় পৃষ্ট হয়ে কমপক্ষে ১২ জন নিহত হন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৫০ জন। হামলাকারী ট্রাক চালককে আটক করা হয়েছে ও পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। বিবৃতিতে জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, ‘এটিকে অবশ্যই সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে ধরে নিতে হবে।’ হামলাকারীর যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করার কথাও বিবৃতিতে বলা হয়। হামলার ঘটনাস্থলের পাশেই কায়সার উইলহেম মেমোরিয়াল চার্চের পাদদেশ। এটি ঘেঁষেই মার্কেটটি অবস্থিত। আসন্ন বড়দিন উপলক্ষে শপিং করার জন্য বহুলোক মার্কেটটিতে জড়ো হয়েছিল। জার্মান ফেডারেল পুলিশ ও পাবলিক প্রসিকিউটরকে ঘটনার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় ডিপিএ সংবাদ সংস্থা জানায়, স্টিলের বিমবোঝাই ট্রাকটি মার্কেট এলাকার মধ্য দিয়ে লোকজনের ভিড় ঠেলে প্রায় ৫০-৭০ মিটার পর্যন্ত যায়। এতে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে, হামলাকারী ট্রাকচালক আফগানিস্তান-পাকিস্তান অঞ্চল থেকে আগত শরণার্থী বলে জার্মানির দুজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও একজন পুলিশের বরাত দিয়ে সিএনএন জানায়। তবে বিবিসির খবরে তাকে পাকিস্তানি শরণার্থী হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। সে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর বলকান অঞ্চল দিয়ে ভ্রমণ করে অস্ট্রিয়ার সঙ্গে জার্মান সীমান্তবর্তী শহর পাসাউতে পৌঁছায়। বিবিসি, সিএনএন