শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা
মার্কেটটি খুলে দেওয়া হয়েছে

বার্লিন হামলাকারীকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা

বার্লিনে ট্রাক চালিয়ে নিরীহ মানুষকে হত্যাকারী সন্দেহভাজন জঙ্গি আনিস আমরিকে ধরিয়ে দিতে পারলে বা তার আটকে সহায়ক তথ্যদাতাকে এক লাখ ইউরো পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। গত সোমবার বার্লিনের কেন্দ্রস্থলে একটি মার্কেটে হামলার এ ঘটনা ঘটে। এরপর তিন দিন পার হলেও এখনো হামলাকারীকে গ্রেফতার করতে পারেনি জার্মান সরকার। এ হামলার জন্য তিউনেশিয়ার নাগরিক আনিস আমরিকে দায়ী করা হচ্ছে। যদিও হামলার পরপরই এক পাকিস্তানি নাগরিককে আটক করেছিল পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা না পেয়ে তাকে পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আনিসকে আটক করতে ইউরোপীয় প্রায় সব দেশেই বিশেষ অভিযান শুরু হয়েছে। গত সোমবারের হামলায় ১২ জন নিহত হন। এ ছাড়া আহত হন আরও প্রায় ৫০ জন। হতাহতদের মধ্যে ছয়জন জার্মান ও একজন ইসরায়েলি পর্যটক। বিবিসি।

আনিস আমরি গত বছর সে জার্মানিতে প্রবেশ করে বলে খবরে বলা হয়। দেশটিতে ঢোকার পর থেকেই ছোটখাটো অপরাধে জড়িয়ে পড়েছিল সে। শুধু জার্মানি নয়, ইতালিতে এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় তাকে চার বছরের জেল দিয়েছিল দেশটি। আর নিজ দেশ তিউনিশিয়ায় সহিংস ডাকাতির ঘটনার জন্য সে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের ‘নো-ফ্লাই’ তালিকায়ও তার নাম ছিল। এসব কারণে জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশের পুলিশের নজরদারিতে ছিল সে। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকায় চলতি বছরের জুনেই শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় না দিয়ে তাকে তিউনিশিয়ায় ফেরত পাঠাতে চেয়েছিল জার্মানি। কিন্তু তিউনিশিয়া থেকে তার নাগরিকত্বের বিষয়ে কাগজপত্র আসতে দেরি হওয়ায় তার ফেরানো পিছিয়ে যায়। বার্লিনের ঘটনার পরপরই এ সংক্রান্ত কাগজ দেশটির কর্তৃপক্ষের কাছে এসে পৌঁছায়। এর মাধ্যমেই তার পরিচয় নিশ্চিত করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, আনিস আমরিকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জার্মানির ডর্টমুণ্ড শহরের কয়েকটি বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। এ সময় আমরির সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে এমন কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে স্থানীয় খবরে দাবি করা হয়েছে। তবে জার্মান কৌঁসুলিরা এ ধরনের খবরকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে।

এদিকে, বার্লিনের যে মার্কেটে ফ্রান্সের নিস শহরের মতো মর্মস্পর্শী এ ঘটনাটি ঘটে তা গতকাল পুনরায় খুলে দেওয়া হয়েছে। খুলে দেওয়ার পরপরই সেখানে নতুন করে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে মার্কেট এলাকায় কংক্রিটের বাধা তৈরি করা হয়েছে। বিবিসি

সর্বশেষ খবর