মার্কিন নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় বিশ্বকে একটি নতুন পর্যায়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আর তা হলো যুক্তরাষ্ট্রের চির বৈরী দেশ রাশিয়ার সঙ্গে একাট্টা হওয়া। মূলত নির্বাচনী প্রচারণার সময় থেকে এর ধারা শুরু। ডেমোক্রেট পার্টি ও সিআইএ অভিযোগ করেছে নির্বাচনী প্রচারণার সময় হিলারির ই-মেইলে যে হ্যাকিং হয়েছে তার পেছনে কলকাঠি নেরেছেন স্বয়ং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আর এই ই-মেইল কেলেঙ্কারি হিলারির পরাজয়ের অন্যতম কারণ বলে মনে করে ডেমোক্রেট শিবির। নির্বাচন শেষ জয়ী হয়েছেন ট্রাম্প। কিন্তু রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার দহরম-মহরম বেড়েই চলছে বলে একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম লেখালেখি করছে। তার সত্যতাও পাওয়া গেছে। ট্রাম্প জয়ী হওয়ার পর পুতিন তাকে ফোনে শুধু শুভেচ্ছাই জানাননি। এর মধ্যে পুতিন তাকে চিঠিও লিখেছেন। যা পেয়ে মহাখুশি ট্রাম্প। চিঠির প্রশংসা করে টুইটও করেছেন ট্রাম্প। এর মধ্যে রাশিয়ায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত মাইকেল ম্যাকফল মন্তব্য করেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভ্লাদিমির পুতিন একজোট হয়েছেন। তিনি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটনকে তুচ্ছ করতে তারা এমন জোট পাকিয়েছিলেন। যা এখনো বহাল। তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ক্রেমলিনের স্বৈরশাসক হিসেবেও আখ্যায়িত করেছেন। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট। ডিসেম্বরের শুরুতে ট্রাম্প এক টুইটে লিখেছিলেন, ‘হিলারি ও ডেমোক্রেটদের সম্পর্কে ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, আমার মতে এটা হলো মানহানিকর। মর্যাদার সঙ্গে একজনকে অবশ্যই হেরে যেতে হবে। খুবই সত্যি কথা’!