বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০১৭ ০০:০০ টা

সংক্ষেপে

সাদ্দামকে জেরা করেছিলেন...

ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন মার্কিন বাহিনীর কাছে ধরা পড়েন ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর কর্মকর্তা জন নিক্সন তাকে জেরা করেন। ১৯৯৮ সালে সিআইএতে যোগ দেওয়ার পর থেকে সাদ্দাম হোসেনের বিষয়ে বিশেষভাবে তত্ত্ব খোঁজ করতেন নিক্সন। তাই সাদ্দামকে জেরা করার জন্য তারই ডাক পড়ে। সাদ্দাম হোসেনের জীবদ্দশায় একটি কথা বেশ চালু ছিল যে নিরাপত্তার জন্য একই চেহারার কয়েকজন সাদ্দাম ছিলেন। তবে নিক্সন বলেন, ‘তাকে দেখার পর আমার সাদ্দামকে চিনতে একটুও কষ্ট হয়নি। আমি নিশ্চিত ছিলাম, এই মানুষটিই সাদ্দাম।

 আমার ডেস্কে অনেক বছর ধরে পড়ে থাকা একটি বইয়ে সাদ্দামের যে মুখভঙ্গি রয়েছে, আলাপ শুরু করার পর দেখি, সেই একই মুখ।’ তবে সেই জেরা করার মুহূর্তটি সিআইএর এই কর্মকর্তার কাছে ছিল বিস্ময়কর। তিনি বলেন, ‘আমি নিজের গায়ে চিমটি কেটে নিশ্চিত হয়েছিলাম যে আমিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফেরারি মানুষটিকে জেরা করছি। আমার কাছে একেবারে আজগুবি ঠেকেছিল বিষয়টি।’ সাদ্দামকে জেরা করার পাঁচ বছর পর ২০০৮ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশকে সেই জেরা সম্পর্কে জানানোর ডাক পান তিনি। নিক্সন হলেন সেই ব্যক্তি, যিনি বুশ ও সাদ্দাম দুই ব্যক্তির সঙ্গেই করমর্দন করেছিলেন। তবে নিক্সন বলেন, প্রেসিডেন্ট বুশ বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে ছিলেন। সিআইএর কর্মকর্তা নিক্সন বলেন, সাদ্দামকে উত্খাতের পর ইরাকে যা ঘটেছে, তা নিয়ে তিনি লজ্জিত।

ইস্তাম্বুলের হামলাকারী চিহ্নিত

নববর্ষের রাতে নাইটক্লাবে হামলাকারীকে চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়েছে তুর্কি কর্তৃপক্ষ। গতকাল দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলাত ক্যাভুসগলু তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলুকে বলেছেন, ‘ইস্তাম্বুলে হামলার জন্য দায়ী ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।’ তবে তিনি হামলাকারীর নাম বলেননি। গত শনিবার বর্ষবরণের রাতে ইস্তাম্বুলের রেইনা নাইটক্লাবে বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ৩৯ জন এবং আহত হন ৭০ জন। নিহতদের মধ্যে ২৭ জনই বিদেশি নাগরিক। হামলার পর হুড়োহুড়ির মধ্যে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় বন্দুকধারী। বিবিসি।

পাঁচ রাজ্যে তফসিল ঘোষণা

উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, গোয়া, পাঞ্জাব এবং মণিপুরে বিধানসভার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত এই রাজ্যগুলোতে নির্বাচন সম্পন্ন হবে। ভোট গণনা আগামী ১১ মার্চ।  গতকাল দিল্লিতে সংবাদ সম্মেলন করে এ তফসিল ঘোষণা করেন দেশটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার নসীম জৈয়দ। সেই সঙ্গে গতকাল থেকেই ওই পাঁচটি রাজ্যে চালু হয়ে গেছে নির্বাচনী আচরণবিধি। বাবা মুলায়ম সিং যাদব ও ছেলে অখিলেশ ক্ষমতার দ্বন্দ্বে উত্তরপ্রদেশে মোট সাত দফায় ভোট গ্রহণ হবে। ভোট শুরু হবে ১১ ফেব্রুয়ারি। পরে যথাক্রমে ১৫, ১৯, ২৩, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ৪ ও ৮ মার্চ ভোট হবে। কলকাতা প্রতিনিধি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর