ইরাক ও সিরিয়ায় তৎপর জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসকে পরাজিত করতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে একসঙ্গে কাজ করবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ ব্যাপারে পারস্পরিক ইচ্ছার কথা ব্যক্ত করেছেন। মার্কিন স্থানীয় সময় শনিবার এ দুই নেতার মধ্যে প্রথম আনুষ্ঠানিক ফোনালাপ হয়। তখনই তারা আইএসকে মোকাবিলা করার বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। পুতিনের দফতর ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে একথা জানায়। এদিকে, আইএসকে পরাজিত করার লক্ষ্যে কর্মকৌশল নির্ধারণে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনকে ৩০ দিন সময় বেঁধে দিয়েছেন ট্রাম্প বলে জানা গেছে। এ সংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করে ট্রাম্প সংশ্লিষ্টদের এই নির্দেশনা দিয়েছেন। ট্রাম্প ও পুতিনের প্রথম ফোনালাপ নিয়ে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক আগ্রহ ছিল। ফোনালাপে সিরিয়া ইস্যু স্থান পাবে বলে অনেকেই ধারণা করেছিল। শেষ পর্যন্ত তা-ই হয়েছে। সিরিয়ায় সক্রিয় আইএস ও অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে কীভাবে পরাজিত করা যায় এ নিয়েই মূলত কথা হয় তাদের মধ্যে। ফোনালাপ প্রসঙ্গে ক্রেমলিন বিবৃতিতে জানায়, সিরিয়ায় তৎপর আইএস ও অন্যান্য সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে পরাজিত করার লক্ষ্যে মার্কিন ও রুশ অ্যাকশনের মধ্যে বাস্তব সমন্বয় প্রতিষ্ঠার পক্ষে কথা বলেন এ দু নেতা। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদবিরোধী লড়াইয়ে রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার’ হিসেবে দেখে থাকে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়। পুতিনের সঙ্গে প্রথম ফোনালাপের আগে আইএসসংক্রান্ত এক নির্বাহী আদেশে সই করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে আইএসকে নির্মূল করতে প্রাথমিক কর্মপরিকল্পনা ঠিক করতে মার্কিন সেনাবাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়। আইএসকে পরাজিত করাই যুক্তরাষ্ট্রের নীতি বলে এতে উল্লেখ করা হয়। সেইসঙ্গে আইএস ও অন্যান্য জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে গঠিত জোটের নতুন অংশীদার ঠিক করার ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। তবে সেই অংশীদার রাশিয়া কিনা তা অবশ্য পরিষ্কার নয়। বিবিসি, রাশিয়া টুডে