কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদি সরকারের শাসনকালে ভারতে গণতন্ত্র বিপন্ন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। ‘ভারত ছাড়ো’ আন্দোলনের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে গতকাল মেদিনীপুর জেলায় এক জনসভায় মমতা অভিযোগ করেন, ‘ভারতে আজ গণতন্ত্র বিপন্ন হয়ে গেছে। দেশের মানুষ বিপন্ন, মানুষের স্বাধীনতা, মানুষের অধিকার বিপন্ন। অনেক রাজনৈতিক দল আজ ভয়ে কথা বলতে পারে না। বিরোধী দলের কণ্ঠ রোধ করা হচ্ছে। দিল্লি সরকার সবকিছু কেড়ে নিয়েছে। দেশে গণতন্ত্রের নামে স্বৈরতন্ত্রের চাবুক চলছে। আমরা সরব হই বলে আমাদের বিরুদ্ধে কখনো সিবিআই, ইডি; কখনো আবার ইনকাম ট্যাক্সকে দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। দিল্লির সরকার এখন এজেন্সির সরকার হয়ে গেছে। তাই বিজেপিকে উত্খাত করতে আমরা (তৃণমূল কংগ্রেস) সব আঞ্চলিক দলের সঙ্গে থাকব, তাদের সহায়তা করব।’
জনসভায় ‘বিজেপি হটাও’-এর ডাক দেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, ‘আমাদের স্লোগান ২০১৯-এ বিজেপি ভারত ছাড়ো, বিজেপি হটাও—দেশ বাঁচাও, বিজেপি হটাও—বাংলা বাঁচাও, বিজেপি হটাও—মানুষ বাঁচাও।’ মমতা বলেন, ‘আজ যারা ক্ষমতায় আছে, তারা দেশটাকে ভাগ করতে চাইছেন, কেউ কেউ তো রাজনৈতিক স্বার্থে বাংলা ভাগও চাইছেন। আমরা কোনো ভাগাভাগি করতে দেব না।’ সিপিআইএমের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এরা এক এক জায়গায় এক এক রকম কথা বলেন। সিপিআইএমের কেউ কেউ এখন সম্পত্তি রক্ষার স্বার্থে ও নিজেদের বাঁচাতে দিল্লির শাসক দলের হাত ধরেছেন। কিন্তু বিজেপির হাত ধরে দিল্লিতেও বাঁচা যাবে না, বাংলায়ও বাঁচা যাবে না।’ মূলত মমতার হাত ধরেই আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বিজেপি ভারত ছাড়ো’ আন্দোলন শুরু হলো গতকাল। এ উপলক্ষে ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি ব্লক, বুথ ও জেলায় মিটিং, মিছিল, পথসভা কর্মসূচি পালন করা হবে।