রবিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৭ ০০:০০ টা

দুবাইয়ে ভাইয়ের কাছে ইংলাক!

দুবাইয়ে ভাইয়ের কাছে ইংলাক!

থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা দুবাই পালিয়ে গেছেন। তার বিরুদ্ধে চাল ভর্তুকি প্রকল্পে দুর্নীতি মামলার রায় যে দিন দেওয়ার কথা তার দুই দিন আগে তিনি পালিয়ে দুবাই চলে যান। সিনাওয়াত্রার  রাজনৈতিক দল পুই থাইয়ের উচ্চপর্যায়ের সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বলে সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়।

সিএনএনের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সিনাওয়াত্রার বিরুদ্ধে দুর্নীতি করার যে অভিযোগ উঠেছে, সেই মামলার রায় শুক্রবার দেওয়ার কথা। কিন্তু সিনাওয়াত্রা আদালতে উপস্থিত না হলে তার পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সামনে চলে আসে। পরে জানা যায়, সিনাওয়াত্রা গত বুধবারই দুবাই চলে গেছেন। আর দুবাইয়ে রয়েছে স্বেচ্ছায় নির্বাসিত সিনাওয়াত্রার ভাই ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিনও।

শুক্রবার ইংলাক ব্যাংককে সুপ্রিম কোর্টে হাজির না হওয়ায় আদালত তার জামিন বাতিল করেন এবং গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। ইংলাকের আইনজীবী আদালতকে বলেন, তিনি (ইংলাক) অসুস্থ। তাই তিনি আদালতে হাজির হতে পারেননি। তবে আদালত তা মানতে অস্বীকৃতি জানান এবং ২৭ সেপ্টেম্বর রায়ের নতুন তারিখ ধার্য করেন। রায়ে ইংলাককে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হতে পারে এবং তিনি আজীবনের জন্য রাজনীতিতে নিষিদ্ধ হতে পারেন। দীর্ঘ-বিলম্বিত এ রায়কে কেন্দ্র করে দেশটিতে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে থাইল্যান্ডের জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা জেনারেল শ্রীওয়ারা র?্যাংসিব্রামাকুল সিএনএনকে বলেন, আমাদের কাছে ইংলাক সিনাওয়াত্রার দেশ ত্যাগের কোনো নথি নেই। সীমান্ত পার হয়ে তিনি প্রথমে প্রতিবেশী দেশে, পরে সেখান থেকে দুবাই যেতে পারেন। চালে ভর্তুকির প্রকল্পটি ছিল ইংলাক প্রশাসনের প্রধান একটি নীতি। ওই কর্মসূচিতে কৃষকদের কাছ থেকে বাজারমূল্যের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি মূল্যে ধান কেনা হয়। এ কর্মসূচিটি কৃষকদের কাছে ছিল জনপ্রিয়। এ কর্মসূচির কারণে দেশটিতে চালের বিশাল মজুত সৃষ্টি হয় এবং লোকসান হয় ৮০০ কোটি ডলার। ২০১৪ সালের ২২ মে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করার মাত্র কয়েক দিন আগে আদালতের এক বিতর্কিত আদেশে ক্ষমতাচ্যুত হন দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা। ২০১১ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন। সিএনএন।

সর্বশেষ খবর