শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:০০ টা

মরদেহ প্রতারণায় মিয়ানমার

নিজ সেনাবাহিনীর নির্মম অত্যাচার ও একটি জাতিকে ধ্বংস করার বিশ্বব্যাপী অভিযোগের পরও নমনীয়  হচ্ছে না মিয়ানমার। নির্বিচারে হত্যাযজ্ঞ চালানোর পর তা ধামাচাপা দিতে নানা অপচেষ্টার কমতি নেই দেশটির। তাইতো রাখাইন রাজ্যে সেনাবাহিনীর হত্যার শিকার হওয়া মানুষের লাশ নিয়ে এখন প্রতারণায় নেমেছে দেশটি। এজন্য পরপর দুই দিনে দুই দফায় হিন্দু গণকবরের সন্ধান পাওয়ার দাবি করেছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। নিজ হত্যাযজ্ঞের অভিযোগ থেকে বাঁচতে ওই সব হত্যাকাণ্ড মুসলমানরা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সে প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, মিয়ানমার সংঘাতের মাঝখানে পড়ে যাওয়া নিহত হিন্দুদের মরদেহ এখন প্রচারণার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহূত হচ্ছে, কয়েক দিন চলে গেলেও সেগুলোর সৎকার করা হয়নি। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ মিয়ানমারের এই ভূমিকাকে ‘মরদেহের রাজনীতি’ আখ্যা দিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, মিয়ানমারের এসব দাবি অবিশ্বাস্য। কারণ এত এত রোহিঙ্গার প্রাণহানি হচ্ছে, অথচ তাদের গণকবর পাওয়া যায় না কেন? এসব ‘প্রচারণা’ কৌশলের সঙ্গে সংযোগ পাওয়া যায়, মিয়ানমার টাইমসের সম্পাদকের সাম্প্রতিক এক মন্তব্যের। সত্য প্রকাশ নয়, যে কোনোভাবে মিয়ানমারের ইতিবাচক ভাবমূর্তি নির্মাণ করার চেষ্টাকেই তিনি সাংবাদিকতা মনে করছেন।

চলতি সপ্তাহে রাখাইনের    উত্তরাঞ্চলে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ ৪৫ জন হিন্দুর লাশ একটি গণকবরে পাওয়ার দাবি করে। এরপর তা মিয়ানমারের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রকাশ করে। এতে করে দীর্ঘদিন ধরে চলমান ক্ষমতাসীন বৌদ্ধ ও মুসলিমদের সংঘাত নতুন মোড় দেয়।

সর্বশেষ খবর