শিরোনাম
সোমবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৭ ০০:০০ টা

উত্তর কোরিয়ার ক্ষেত্রে একটা জিনিসই কাজ করবে : ট্রাম্প

উত্তর কোরিয়ার ক্ষেত্রে একটা জিনিসই কাজ করবে : ট্রাম্প

উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে সৃষ্ট বিরোধ কূটনৈতিক উপায়ে নিষ্পত্তির সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক টুইটার বার্তায় তিনি আবারও পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ইঙ্গিত দিয়েছেন। শনিবার এক টুইটে ট্রাম্প বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টরা এবং তাদের প্রশাসনগুলো উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ২৫ বছর ধরে কথা বলছে; সমঝোতা হয়েছে এবং প্রচুর অর্থও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কিছুই কাজ করেনি, কলমের কালি শুকিয়ে যাওয়ার আগেই সমঝোতা লঙ্ঘন করে মার্কিন মধ্যস্থতাকারীদের বোকা বানানো হয়েছে। দুঃখের সঙ্গে তাই বলতেই হচ্ছে, ‘রাস্তা একটাই’। ডোনাল্ড ট্রাম্প তার এ বক্তব্যের মাধ্যমে আবারও উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থা নেওয়ার পরোক্ষ ইঙ্গিত দিলেন। ট্রাম্প এর আগে বলেছিলেন, পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক হুমকি থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের রক্ষা করতে প্রয়োজন পড়লে উত্তর কোরিয়াকে ‘পুরোপুরি ধ্বংস’ করে দেওয়া হবে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও তাদের স্ত্রীদের সঙ্গে এক বৈঠকের সময়ও ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছিলেন, পরিস্থিতি এখন ‘ঝড়ের আগের শান্ত সময়ের মতো’। কি নিয়ে এমন মন্তব্য জানতে চাইলে ট্রাম্পের উত্তর, আপনারা দেখতে পাবেন। পরদিন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র সারাহ স্যান্ডার্স জানান, ইরান ও উত্তর কোরিয়া নিয়েই  প্রেসিডেন্টের ওই মন্তব্য। শনিবারের টুইট নিয়ে কিছু বলতে রাজি হননি স্যান্ডার্স। নর্থ ক্যারোলাইনা ভ্রমণে যাওয়ার আগে সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করলে ট্রাম্পও বলেন, এর চেয়ে স্পষ্ট করার কিছু নেই। একই বিষয়ে জানতে চাইলে পেন্টাগন বলে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাজ হচ্ছে ‘প্রেসিডেন্টের কাছে সামরিক বিকল্প তুলে ধরা ও তার নির্দেশ বাস্তবায়ন করা।’ পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে আলোচনায় ট্রাম্প যে আগ্রহী নন, তা এর আগেও বোঝা গেছে। গত সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের চেষ্টা চলছে জানানোর একদিন পর ট্রাম্প একে ‘সময় নষ্ট’ হিসেবে অভিহিত করেন। চলতি মাসে হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষা করে এক প্রকার গোটা বিশ্বকে নাড়িয়ে দেন উত্তর কোরীয়  নেতা কিম জং-উন। জাতিসংঘসহ বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোকে পরোয়া না করে পর পর দুবার জাপানের ওপর দিয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে তারা। এরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে জাতিসংঘে দেওয়া প্রথম ভাষণে কিমকে ‘শেষ হুঁশিয়ারি’ দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর পর পরই উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি অং-হো হুমকি দেন, ভবিষ্যতে প্রশান্ত মহাসাগরে আরও শক্তিশালী হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষা করা হবে। ২৩ সেপ্টেম্বর মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের বরাতে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূলের ‘সবচেয়ে কাছ’ দিয়ে ?মার্কিন বোমারু উড়ে গেছে। আর এই দিনই জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে রি অং হো বলেন, ট্রাম্পের ‘যুদ্ধবাজি মন্তব্য অব্যাহত থাকলে যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ড উত্তর কোরিয়ার অনিবার্য লক্ষ্যে পরিণত হবে। বিবিসি।

সর্বশেষ খবর