ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনার যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। এখন দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হওয়া উচিত বলে মনে করে ইউরোপিয়ান কমিশন। গতকাল সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যঁ ক্লদ জাঙ্কার বলেন, ‘যুক্তরাজ্য সরকার খসড়া চুক্তিতে সমর্থন দিয়েছে বলে আমাকে নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। এ সমর্থনের ভিত্তিতে আমার বিশ্বাস, এখন আমরা প্রয়োজনীয় গতিতে সামনে অগ্রসর হতে পারব। ‘গতকালের ফলাফল অবশ্যই সমঝোতার ছিল। যদিও যুক্তরাজ্য ও ইইউ উভয়ের জন্যই আলোচনা     কঠিন ছিল।’ ‘ব্রেক্সিট’ এর প্রথম ধাপের খসড়া প্রস্তাব নিয়ে মে সরকারের শরিক দল নর্দান আয়ারল্যান্ডের ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টি (ডিইউপি) জোরাল আপত্তি তোলায় গত সোমবার একটি চুক্তিতে উপনীত হওয়া সম্ভব হয়নি বলে জানায় বিবিসি। ব্রেক্সিটের পর নর্দান আয়ারল্যান্ড ও রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ডের মধ্যে সীমান্ত ব্যবস্থা কী হবে এবং তা কীভাবে ‘নিয়ন্ত্রিত’ হবে তা নিয়ে মূল জটিলতা দেখা দিয়েছিল।

বিবিসি জানায়, বৃহস্পতিবার রাতভর এ বিষয় নিয়ে আলোচনার পর গতকাল বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস পৌঁছেছেন মে। সেখানে পৌঁছে মে বলেন,  কোনো কিছু নিয়ে ‘কঠোর মতবিরোধ নেই’ এবং গতকাল চুক্তিটি সম্পন্ন হওয়ার কথা। ‘ইইউর নাগরিকরা আগের মতোই যুক্তরাজ্যে বসবাস করতে পারবেন।’ এদিকে ডিইউপির নেতা আরলেন ফস্টার বলেন, (খসড়া প্রস্তাবে) যে পরিবর্তন আনা হয়েছে তাতে তিনি ‘সন্তুষ্ট’। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের ধারণা, ইউরোপিয়ান কমিশনের পক্ষ থেকে যথেষ্ট    অগ্রগতি হয়েছে বলার অর্থ আগামী সপ্তাহে ইইউ নেতাদের সম্মেলনে  খসড়া চুক্তিটি উপস্থাপন করা হবে।  ওই সম্মেলনে একটি আনুষ্ঠানিক    চুক্তি হবে বলে  আশা প্রকাশ    করেছেন মে। ২০১৯   সালের মার্চের মধ্যে যুক্তরাজ্য ইইউ ছাড়বে। বিবিসি।