রাষ্ট্রীয় গোপন নথি ফাঁস করার দায়ে কারাদণ্ড ভোগ করা মার্কিন সাবেক গোয়েন্দা বিশ্লেষক চেলসি ম্যানিং মেরিল্যান্ডের সিনেট নির্বাচনে লড়তে চান। আগামী নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য তিনি ডেমোক্র্যাট দলের মনোনয়ন পেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। গুপ্তচরবৃত্তিসহ ২০টি অভিযোগে ২০১৩ সালে ম্যানিংয়ের ৩৫ বছরের কারাদণ্ড হয়েছিল, পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তার সাজা মওকুফ করে দেন। বিবিসি জানায়, ৩০ বছর বয়সী ম্যানিং এবার মেরিল্যান্ডের আসনে ডেমোক্র্যাট দলের হয়ে ৭৪ বছর বয়সী সিনেটর বেন কার্ডিনের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন। গত বছর কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে মেরিল্যান্ডে বসবাস করছেন ম্যানিং। ম্যানিংকে প্রথমে সবাই পুরুষ হিসেবেই চিনত। তখন তার নাম ছিল ব্রাডলি ম্যানিং। তবে ২০১৩ সালে সামরিক আদালতের দণ্ড পাওয়ার একদিনের মাথায় ব্রাডলি ম্যানিং নিজেকে নারী বলে দাবি করেন এবং বাকি জীবন চেলসি ম্যানিং নাম নিয়ে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কারাগারে হরমোন চিকিৎসা পাওয়ারও দাবি তুলেছিলেন ম্যানিং। সাত লাখেরও বেশি গোপন নথি, ভিডিও ও কূটনৈতিক তারবার্তা উইকিলিকসকে সরবরাহ করার অভিযোগে ২০১০ সালে ইরাক থেকে ম্যানিংকে গ্রেফতার করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের অভিযোগ, ম্যানিংয়ের ফাঁস করা তথ্যে অনেকের জীবন বিপন্ন হয়েছে। ম্যানিংয়ের বিরুদ্ধে ওঠা ওইসব অভিযোগ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তুমুল বিতর্ক চলে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা ম্যানিংয়ের সাজাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ অভিহিত করেন। অন্যদিকে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ম্যানিংকে ‘অকৃতজ্ঞ বিশেষজ্ঞ’ অ্যাখ্যা দেন যার ‘কখনোই কারাগার থেকে ছাড়া পাওয়া উচিত ছিল না’ বলে মন্তব্য করেন। বিবিসি