সৌদি আরবের একজন শীর্ষ ধর্মীয় নেতা বলেছেন, সে দেশে মেয়েদের ‘আবায়া’ বা বোরকা পরতেই হবে এমন কোনো ব্যাপার নেই। মেয়েদের আব্রু বজায় রেখে পোশাক পরতে হবে, কিন্তু তার মানে এই নয় যে তাদের বোরখা পরতে হবে। সৌদি আরবে মেয়েরা পা পর্যন্ত পুরো শরীর ঢেকে রাখা যে ঢিলেঢালা পোশাক ব্যবহার করে, তাকে আবায়া বলে। দেশটিতে আইনত আবায়া পরা মেয়েদের জন্য বাধ্যতামূলক। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরবের কাউন্সিল অব সিনিয়র স্কলারসের জ্যেষ্ঠ সদস্য শেখ আবদুল্লাহ আল মুতলেক বলেছেন, ‘এটি পরার কোনো দরকার নেই।’ সৌদি সমাজে যখন নানা রকম সংস্কারের চেষ্টা চলছে, তখনই একজন শীর্ষ ধর্মীয় নেতা এ ধরনের একটি ধর্মীয় ব্যাখ্যা দিলেন। মুতলেক আরও বলেন, মুসলিম বিশ্বের ৯০ শতাংশ মহিলাই ‘আবায়া’ পরেন না। কাজেই আমাদেরও উচিত হবে না মেয়েদের এটা পরতে বাধ্য করা। সম্প্রতি দেশটির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মেদ বিন সালমান ঘোষণা দেন তিনি ইসলামের নামে কঠোরতা থেকে দেশকে মুক্ত করতে চান। এ জন্য সৌদি সমাজে সংস্কার শুরু হয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে। চলতি বছরের মার্চে সেখানে প্রথম সিনেমা হল খুলবে। মেয়েরা স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখতে পারবে। গত ডিসেম্বরে গানের কনসার্টে অংশ নেন প্রথম কোনো নারী সংগীতশিল্পী। এত সব সংস্কারের মধ্যে এবার আবা নিয়ে ধর্মীয় ব্যাখ্যা দিলেন দেশটির শীর্ষ ধর্মীয় নেতা। বিবিসি।

তার এ মন্তব্য ঘিরে ইতিমধ্যে অনলাইনে তীব্র বিতর্ক এবং আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই তার সমর্থনে কথা বলছেন। বিরোধিতাও করছেন অনেকে।