শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডির রাজপথে বৃহস্পতিবার কোনো সাধারণ মানুষকে দেখা যায়নি। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছিলেন সর্বত্র। এরপরও নিশ্চিন্তে থাকতে পারছেন না মুসলিমরা। গতকাল জুমার নামাজের দিনেও হামলার শিকার হওয়ার আতঙ্কে কাটিয়েছে স্থানীয় মুসলিমরা। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, জরুরি অবস্থা ও কারফিউর পরও মুসলিমদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটছে। ফাতিমা রিজকা নামে স্থানীয় একজন বলেন, ‘আমি খুবই ভয়ে আছি এবং সারা রাত ঘুমাতে পারিনি। বাসার পুরুষরা আমাদের সুরক্ষা দিতে বাইরে আছে। আমরা বাসায় একা।’ তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশ তাদের সুরক্ষা দিচ্ছে না। হামলার সময় ?শুধু পাশেই দাঁড়িয়ে থাকছে। ফাতিমা বলেন, ‘আমরা জানি না এরপরে কি হতে যাচ্ছে।’ শ্রীলঙ্কায় সংখ্যাগুরু বৌদ্ধরা। দুই কোটি ১০ লাখ মানুষের দেশটিতে বৌদ্ধ ধর্মালম্বী প্রায় ৭৫ শতাংশ। আর মুসলমান ১০ শতাংশ। এক গুজব থেকে শ্রীলঙ্কায় মুসলিমবিরোধী এই দাঙ্গার সূত্রপাত। পর্যটননগরী ক্যান্ডির মুসলিম মালিকানাধীন দোকানে বৌদ্ধদের খাবারে গর্ভনিরোধক মেশানো হয়েছে; এমন গুজব ছড়িয়ে শুরু হয় অগ্নিসংযোগ। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ক্যান্ডিতে কারফিউ জারি করেন কর্তৃপক্ষ। তবে কারফিউ ভেঙে উচ্ছৃঙ্খল জনতার তাণ্ডব অব্যাহত থাকে। এরপর দেশজুড়ে ১০ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। যা এখনো চলছে।