সোমবার, ২৬ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইনের দাবিতে রাজপথে লাখো আমেরিকান

বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইনের দাবিতে রাজপথে লাখো আমেরিকান

বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইন তৈরির মধ্য দিয়ে মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তা শক্তিশালী করার দাবিতে গোটা আমেরিকায় লাখ লাখ মানুষ রাজপথে নেমেছে। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা ‘আমাদের জীবন বাঁচাতে মিছিল করছি’ শীর্ষক এ কর্মসূচিতে সবচেয়ে বড় সমাবেশটি হয় রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে। ৫ লক্ষাধিক আমেরিকান এতে অংশ নেয়। একই সময়ে নিউইয়র্ক সিটিতে ট্রাম্প টাওয়ারের আশপাশে জড়ো হয় লক্ষাধিক আমেরিকান। ফ্লোরিডা, ক্যালিফোর্নিয়া, জর্জিয়া, নর্থ ক্যারোলিনা, টেক্সাস, পেনসিলভেনিয়া, মিনেসোটা, ম্যাসেচুসেটসে আরও শতাধিক মিছিল-সমাবেশ হয়েছে।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ফ্লোরিডার পার্ক ল্যান্ডে স্টোনহ্যাম ডগলাস হাই স্কুলে নির্বিচার গুলিবর্ষণে ১৭ জন নিহত হয়। যাদের বেশির ভাগই শিক্ষার্থী। এরপর থেকে বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইনের জন্য রাজপথে নেমেছে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। সে সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও এই দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছিলেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত সে ধরনের কোনো তৎপরতা ক্ষমতাসীন রিপাবলিকানদের মধ্যে দেখা না দেওয়ায় জাতীয়ভিত্তিক এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

নিউইয়র্কের কর্মসূচি থেকে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে, ন্যাশনাল রাইফেল অ্যাসোসিয়েশনের (এনআরএ) কাছ থেকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত নির্বাচনে কমপক্ষে ২২ মিলিয়ন ডলারের চাঁদা নিয়েছেন। তাই তিনি এ বিষয়ে শক্ত কোনো সিদ্ধান্তে যেতে পারছেন না।

গতকালের দিনভর লাখ লাখ আমেরিকানের বিক্ষোভ-সমাবেশকে অনেকেই সত্তরের দশকের সিভিল রাইটস মুভমেন্টের সঙ্গে তুলনা করছেন। কারণ, স্কুলের তরুণ-তরুণীরা এ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল।

বিক্ষোভ-সমাবেশ প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউসের ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি লিন্ডসে ওয়াল্টার্স বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে প্রথম সংশোধনীর মাধ্যমে তৈরি বাকস্বাধীনতার অধিকার আজ তরুণ আমেরিকানরা যথাযথভাবে চর্চা করছে। এমন সাহসীদের প্রশংসা করতে দ্বিধা নেই। তবে আমাদের শিশুদের নিরাপত্তাকে প্রেসিডেন্ট সব সময়ই অগ্রাধিকার দেন।’ এদিকে, মার্কিন সিনেটে সংখ্যালগিষ্ট দল-ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা সিনেটর চাক শুমার গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘অনেক রিপাবলিকানও চাচ্ছেন বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইন। কিন্তু শীর্ষ পর্যায়ের রিপাবলিকানদের আচরণ সত্যি রহস্যজনক।’ এনআরবি নিউজ।

সর্বশেষ খবর