সোমবার, ২৬ মার্চ, ২০১৮ ০০:০০ টা

কূটনীতিক বহিষ্কার করলে কোন দেশে কি ঘটে?

কোনো দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের টানাপড়েন শুরু হলে প্রায়ই যে বিষয়টি দেখা যায় তা হলো কূটনীতিককে বহিষ্কার। সম্প্রতি ব্রিটেনের স্যালসবারি শহরে সাবেক এক পক্ষত্যাগী গুপ্তচরকে বিষ প্রয়োগে হত্যার চেষ্টার পর ব্রিটেন এই ঘটনার জন্য সরাসরি রাশিয়াকে দায়ী করে। পরে ব্রিটিশ সরকার ২৩ রুশ কূটনীতিকদের বহিষ্কারের ঘোষণা দেয়।

এই সিদ্ধান্তের পাল্টা জবাব হিসেবে রাশিয়াও সমান সংখ্যক ব্রিটিশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করে। সেই সঙ্গে ব্রিটিশ কাউন্সিল বন্ধ আর সেন্ট পিটার্সবুর্গ শহরে ব্রিটিশ কনস্যুলেট বন্ধেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু কোন দেশ কেন কূটনীতিকদের বহিষ্কার করে? যখন একজন কূটনীতিককে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়, তখন আসলে কি ঘটে?

সারা বিশ্বেই কূটনীতিকরা যে দেশে কাজ করেন, সেখানে ইম্যুনিটি বা সাধারণ ক্ষমার আওতায় থাকেন। তার মানে, তাদের সেসব দেশে বিচার করা যাবে না। কিন্তু তারা যদি আইন ভাঙেন বা ওই দেশ বিরোধী কোনো কাজ করেন, কিংবা কূটনৈতিক সংকট তৈরি হয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট দেশের এসব অধিকার প্রত্যাহার করার অধিকার রয়েছে। যেমনটা এখন ঘটেছে ব্রিটেন আর রাশিয়ার মধ্যে। কূটনৈতিক সম্পর্কের বিষয়ে ভিয়েনা কনভেনশনের ৯ আর্টিকেলে বলা আছে, যে কোনো দেশ যেকোনো কারণে কোনো ব্যক্তিকে ‘নন গ্রাটা’ বা ওই দেশে অনাকাঙ্ক্ষিত বলে ঘোষণা করতে পারবে।

কে এসব সিদ্ধান্ত নেন?

হোস্ট কান্ট্রি বা যে দেশে কূটনীতিকরা কাজ করেন, সেই দেশটি সিদ্ধান্ত নেয়, কে থাকবে আর কে চলে যাবে। যেমন শনিবার ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে ডেকে রাশিয়া জানিয়ে দিয়েছে যে তাদের চলে যেতে হবে। তিনি তার কর্মীদের সেই তথ্য জানিয়েছেন।

তবে এ বিষয়ে জানানোর নির্দিষ্ট কোনো নিয়মনীতি নেই। রাষ্ট্রদূতকে ডেকে সংশ্লিষ্ট দেশ যেমন জানিয়ে দিতে পারে, অথবা আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক চিঠিও পাঠাতে পারে। কাউকে দেশ ছেড়ে চলে যেতে বলার মানে তাকে চলে যেতে হবে। সেটা প্রত্যাখ্যান করা মানে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করা, যা হয়তো বড় ধরনের সংকটের জন্ম দিতে পারে। এবার যেমন রাশিয়া ব্রিটিশ কূটনীতিকদের দেশ ছাড়তে এক সপ্তাহ সময় দিয়েছে। কখনো কখনো সেটি ৭২ ঘণ্টা বা ২৪ ঘণ্টাও হয়ে থাকে। বিবিসি বাংলা।

সর্বশেষ খবর