রবিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৮ ০০:০০ টা
জম্মু ও কাশ্মীরে শিশু ধর্ষণ

ছেলেকে বাঁচাতে খুনের পরিকল্পনা

জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়ায় আট বছরের শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি সানজি রাম ছেলেকে বাঁচাতে শিশুটিকে খুনের পরিকল্পনা করেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সানজি রাম বলেন, শিশুটিকে অপহরণের চার দিন পর তিনি বিষয়টি জানতে পারেন। তার ছেলেও শিশুটিকে ধর্ষণ করেছে এটা জানার পর সবকিছু ধামাচাপা দিতে তিনি খুনের পরিকল্পনা করেন।

তার দাবি, ১৩ জানুয়ারি তার ভাতিজা প্রথম তাকে ধর্ষণের ঘটনাটি জানায়। ‘তখনই আমি হত্যার পরিকল্পনা করি। তাতে যাযাবর সম্প্রদায়কে ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যও সফল হবে।’ ১০ জানুয়ারি কাঠুয়ায় মুসলিম যাযাবর সম্প্রদায়ের ওই শিশুটিকে অপহরণ করে একটি মন্দিরে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়। সানজি রামের জবানবন্দি অনুযায়ী, শিশুটিকে ১৪ জানুয়ারি হত্যা করা হয়। পুলিশ ১৭ জানুয়ারি জঙ্গল থেকে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সানজি রাম ও তার ছেলে, তার ভাতিজা (নিজের বয়স ১৮-এর কম দাবি করেছে) এবং পুলিশসহ আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য অনেক ধর্ষণের ঘটনার মতো এ ঘটনাটিও আড়ালেই ছিল। কিন্তু অভিযুক্তরা হিন্দু সম্প্রদায়ের হওয়ায় তাদের মুক্তির দাবিতে কাঠুয়ার কয়েকটি হিন্দু অধিকার রক্ষাকারী সংগঠন বিক্ষোভ শুরু করলে এবং বিজেপি নেতা স্থানীয় সরকারের দুই মন্ত্রী সেই বিক্ষোভ সমর্থন করলে দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। ন্যায়বিচারের দাবিতে বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়। অনলাইন।

 ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীসহ দলের প্রভাবশালী নেতারা দিল্লিতে বিক্ষোভে অংশ নেন; যা নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। ওই দুই মন্ত্রী পদত্যাগে বাধ্য হন। এ ঘটনার জেরে প্রধানমন্ত্রী মোদির মন্ত্রিসভায় নতুন একটি অর্ডিন্যান্স পাস হয়। যেখানে ১২ বছরের কম বয়সের শিশু ধর্ষণে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের কথা বলা হয়েছে। কাঠুয়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা বলেছেন, হিন্দু অধ্যুষিত এলাকাটি থেকে মুসলিম যাযাবর সম্প্রদায়ের মানুষদের ভয় দেখিয়ে তাড়িয়ে দিতে শিশুটিকে অপহরণ করা হয়েছিল। তদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে সানজি রামের আইনজীবী কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

সর্বশেষ খবর