শুক্রবার, ১১ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

ক্যারিশমায় ভরা মাহাথির

মালয়েশিয়া। দেশটির জনসংখ্যা সাকল্যে সোয়া তিন কোটি। আর গড় আয়ু ৭৪। সেখানে ৯২ বছরের মাহাথির মোহাম্মদ মালয়েশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বিস্ময়কর নির্বাচনী বিজয় পেয়েছেন। কীভাবে তা সম্ভব হল আর এর অর্থই বা কী? তবে এটা নিশ্চিত শুধু একজন মাহাথিরের পক্ষেই এটা করা সম্ভব। একজন ব্যক্তির উপর একটি গোটা দেশ কীভাবে সর্বোচ্চ বিশ্বাস রাখতে পারেন তা আবার প্রমাণ করলেন।

১৯৫৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন অবসানের পর থেকে বরাবরই বারিসান ন্যাশানাল জোট মালয়েশিয়ার শাসনক্ষমতায় থেকেছে। আর এই দল কিন্তু এগিয়েছে মাহাথিরের হাত ধরেই। এই দলের সদস্য হিসেবে দেশটির শাসন করেছে এক নাগারে ২২ বছর। এরপর ২০০৩ সালে ক্ষমতা ও রাজনীতি থেকে অবসরে যান। এই সময়ে মালয়েশিয়াকে আধুনিক ও আকর্ষণীয় একটি দেশে পরিণত করেন মাহাথির। আর শেষ জীবনে এসে তার হাতে তৈরি দলের নেতা ও প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এসে প্রিয় দল ছেড়ে চরম শত্রু আনোয়ার ইব্রাহিমের বিরোধী দলে নাম লেখান। সেখানেও দেখালেন কারিশমা। আর সেটা দেখলো গোটা বিশ্ব। কিন্তু এই কারিশমার পেছনে আসলে কি আছে। বিবিসি বলছে, যেমনটা সচরাচর হয়ে থাকে, এক্ষেত্রেও কারণ মূলত অর্থনীতি। জীবনধারণের ব্যয় মালয়েশিয়ায় অত্যধিক বেড়ে গেছে এবং জিনিসপত্র ও বিভিন্ন সেবার ওপর সরকার নতুন নতুন কর আরোপ করেছে- যা কখনই জনপ্রিয় নয়। একই সঙ্গে এখন মালয়েশিয়ার রাজনীতিতে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হল দুর্নীতি। যে অভিযোগ নাজিব রাজাকের বিরুদ্ধে।

এখন কী ঘটতে পারে? মাহাথির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দু বছর পর তিনি ক্ষমতা আর কারও হাতে তুলে দেবেন। কারণ? - তার বয়স এখন ৯২! আর সেটাও মালয়েশিয়ার রাজনীতির ক্ষেত্রে আরেকটা চমক সৃষ্টি করতে পারে, কারণ সেক্ষেত্রে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হবার বড়ধরনের সম্ভাবনা রয়েছে আনোয়ার ইব্রাহিমের- যিনি মাহাথিরের সাবেক ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং যাকে ক্ষমতা থেকে সরিয়েছিলেন মাহাথির। সমকামিতার অভিযোগে আনোয়ার ইব্রাহিম বর্তমানে কারাবাস করছেন। বিবিসি, এএফপি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর