বুধবার, ২৩ মে, ২০১৮ ০০:০০ টা

কিম-ট্রাম্প বৈঠক নিয়ে অনিশ্চয়তা

সপ্তাহ দুয়েক পর আমেরিকা ও উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে কিনা, তা সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। পরিস্থিতি সামলাতে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ওয়াশিংটন সফর করছেন। পরমাণু অস্ত্র বর্জন করলে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখাতে চান তিনি। অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন আগামী ১২ জুন সিঙ্গাপুরে ঐতিহাসিক শীর্ষ বৈঠকে মিলিত হওয়ার দিনক্ষন ঠিক করেছেন। কিন্তু এ মুহূর্তে ওই বৈঠক নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। কারণ, উত্তর কোরিয়া ওয়াশিংটনের কিছু সাম্প্রতিক আচরণে ক্ষুব্ধ হয়েছে। কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি আনতে উত্তর কোরিয়াকে একতরফাভাবে তার পরমাণু অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র বর্জন করতে হবে, এমন ইঙ্গিত তাদের পছন্দ নয়। দক্ষিণ কোরিয়া ও আমেরিকার মধ্যে যৌথ সামরিক মহড়ারও নিন্দা করেছে উত্তর কোরিয়া। পরিস্থিতি সামলাতে  ট্রাম্প বলেছেন, তিনি কিম জং উন প্রশাসনকে নিরাপত্তার গ্যারান্টি দিতে প্রস্তুত। সেইসঙ্গে কিমের সাম্প্রতিক মনোভাবের জন্য তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।

তার মতে, চীনে সাম্প্রতিক এক বৈঠকে শি সম্ভবত কিম-কে প্রভাবিত করেছেন।

 চীন অবশ্য কূটনৈতিক পথে কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি আনার পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে। মোটকথা কোনো উল্লেখযোগ্য চুক্তি স্বাক্ষর না করতে পারলে ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আগ্রহী নন এমন ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এমনই প্রেক্ষাপটে গতকাল ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন। ট্রাম্প ও কিমের মধ্যে কূটনৈতিক দ্বন্দ্ব কাটিয়ে ঐতিহাসিক শীর্ষ বৈঠকের পথে বাধা দূর করতে চান তিনি। পরমাণু অস্ত্র বর্জন করলে উত্তর কোরিয়ার জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যতের রূপরেখা সৃষ্টি করতে আগ্রহী মুন। কিম জং উন-এর সঙ্গে তার নিজের বৈঠকের পর কোরীয় উপদ্বীপে শান্তির যে সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে, তা নষ্ট করতে চান না তিনি। তবে উত্তর কোরিয়ার বর্তমান সদিচ্ছার উপর ভরসা করে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে মার্কিন সৈন্য ও সামরিক সরঞ্জাম প্রত্যাহার বা আমেরিকার সঙ্গে সামরিক মহড়া বন্ধ করতে তিনি কতটা প্রস্তুত, সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে।

সর্বশেষ খবর