স্নায়ুযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়ার আয়োজন করেছে পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটো। গতকাল থেকে নরওয়েতে এ সামরিক মহড়া শুরু হয়েছে। রাশিয়াকে নিজেদের শক্তিমত্তা দেখাতে এই মহড়া বলে জানিয়েছে বিশ্লেষকরা। প্রায় ৫০ হাজার সেনা, ১০ হাজার সামরিক যান, ৬৫টি যুদ্ধজাহাজ, ২৫০টি যুদ্ধবিমান মহড়ায় অংশ নিয়েছে। মহড়াটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ট্রাইডেন্ট জাঙ্কচার ১৮’। এটি চলবে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত। ৩১টি দেশ এতে অংশ নিয়েছে। নরওয়েতে রাশিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ১৯৮ কিলোমিটার দূরে মহড়াটির আয়োজন করা হয়েছে।

সম্ভাব্য হুমকি থেকে ন্যাটো সদস্য দেশগুলোকে রক্ষার লক্ষ্য নিয়ে জোট সেনাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের জন্য এবারের মহড়া চালানো হচ্ছে বলছে সংস্থাটি। ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গ বলছেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ন্যাটোর নিরাপত্তা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য অবনতি হয়েছে। এ মহড়া থেকে আমাদের জাতিগুলো ও সম্ভাব্য আগ্রাসীদের জন্য পরিষ্কার বার্তা দেওয়া হচ্ছে। ন্যাটো কারও সঙ্গে সংঘাত চায় না কিন্তু যেকোনো হুমকির মুখে সব মিত্রদেশকে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে রক্ষার জন্য প্রস্তুত।’ আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, গত মাসে চীন-মঙ্গোলিয়াকে নিয়ে ৩ লাখ সেনার অংশগ্রহণে সাইবেরিয়ার পূর্বাঞ্চলে নিজেদের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া করে রাশিয়া। এতে ৩ লাখ সেনাসদস্য ছাড়াও ৩৬ হাজার সামরিক যান, ১ হাজার যুদ্ধবিমান ও ৮০টি যুদ্ধজাহাজ অংশ নেয় ওই মহড়ায়। ‘ভোস্তক-২০১৮ (প্রাচ্য-২০১৮)’ নামের ওই মহড়ায় রাশিয়া তাদের শক্তি প্রদর্শন করে। ওই মহড়ার পর ন্যাটোর শক্তি নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও সন্দেহ প্রকাশ করেন। মূলত রাশিয়াকে দেখানোর জন্যই এবার বিশাল এ মহড়ার আয়োজন করল ন্যাটো।