রবিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা
ট্রাম্প ফাউন্ডেশন নিয়ে মামলা

ট্রাম্পের আবেদন প্রত্যাখ্যান

ট্রাম্পের আবেদন প্রত্যাখ্যান

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের সময় নিজের নামে থাকা দাতব্য প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার সন্তানরা আইন ভঙ্গ করেছিলেন, এমন অভিযোগে হওয়া একটি মামলা খারিজে মার্কিন প্রেসিডেন্টের আবেদন নিউইয়র্কের আদালতে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। শুক্রবার ম্যানহাটনে অবস্থিত রাজ্য সুপ্রিম কোর্টের বিচারক সালিন স্কারপুলা এক আদেশে ট্রাম্পের আবেদনটি খারিজ করে দেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

‘বেআইনি রাজনৈতিক সমন্বয়ের’ মাধ্যমে দাতব্য ট্রাম্প ফাউন্ডেশন ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রভাব রেখেছিল অভিযোগে চলতি বছরের জুনে নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল বারবারা আন্ডারউড প্রেসিডেন্ট ও তার তিন সন্তানের বিরুদ্ধে এ মামলাটি করেছিলেন। তার ভাষ্য, অলাভজনক প্রতিষ্ঠানকে মেনে চলতে হয় এমন আইন ভঙ্গের পাশাপাশি নিজেদের মধ্যে লেনদেনের মাধ্যমে এ চারজন ফাউন্ডেশনকে ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারের সমন্বয়ে  বেআইনিভাবে কাজে লাগিয়েছিলেন।

ফাউন্ডেশনের নাম ও উত্তোলিত অর্থ নির্বাচনের প্রচারে ব্যবহারে ট্রাম্প নিজেই নির্দেশ দিয়েছিলেন বলেও দাবি আন্ডারউডের। এ অ্যাটর্নি জেনারেল বলছেন, দাতব্য সংস্থার সম্পদ ব্যবহার করে ট্রাম্প আইনি খরচ মেটানো, ব্যবসার উন্নতি ও পেইন্টিংসহ বেশ কিছু ব্যক্তিগত জিনিস কিনেছিলেন। অঙ্গরাজ্যটির আগের অ্যাটর্নি জেনারেল এরিক স্নেইডারম্যানের নির্দেশে দুই বছরের তদন্ত শেষে মামলাটি হয় বলে দাবি আন্ডারউডের। সাবেক প্রেমিকাদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন, এমন অভিযোগ ওঠায় গত মাসে স্নেইডারম্যান পদত্যাগ করলে আন্ডারউড তার স্থলাভিষিক্ত হন। সঠিকভাবে নিবন্ধিত না হওয়ায় ২০১৬ সালের অক্টোবরে নিউ ইয়র্ক থেকে টাকা তোলা বন্ধ করতে ট্রাম্প ফাউন্ডেশনকে নির্দেশ দিয়েছিলেন স্নেইডারম্যান। ‘স্বার্থের সংঘাতের’ ছায়া এড়াতে সে সময়কার রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প ২০১৬-এর ডিসেম্বরের মধ্যে দাতব্য সংস্থাটি বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। যদিও তদন্ত শেষের আগে দাতব্য প্রতিষ্ঠানটি বন্ধের সুযোগ নেই বলে পরের মাসে নিউইয়র্ক টাইমসকে অ্যাটর্নি জেনারেলের দফতরের এক মুখপাত্র জানিয়েছিলেন। আন্ডারউডের এ মামলায় ট্রাম্প ফাউন্ডেশনের বিলুপ্তির পাশাপাশি ২৮ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণও চাওয়া হয়েছে। মামলা খারিজে ট্রাম্পের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্কারপুলা বলেন, মার্কিন সংবিধান প্রেসিডেন্টকে এ ধরনের মামলা থেকে সুরক্ষা দেয় না। তাত্ক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে হোয়াইট হাউসের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। রয়টার্স।

সর্বশেষ খবর