বৃহস্পতিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

ইউক্রেন সংকট নিয়ে মুখোমুখি ট্রাম্প-পুতিন

ইউক্রেন সংকট নিয়ে মুখোমুখি ট্রাম্প-পুতিন

ইউক্রেনের জাহাজ আটক করে তোপের মুখে পড়েছে রাশিয়া। দেশটি আরও নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠক বাতিলের ইঙ্গিত দিয়েছেন। ২০১৪ সালে ক্রেমিয়া উপদ্বীপ দখল ও ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশপন্থি বিদ্রোহীদের মদতের কারণে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছিল। এবার নাবিকসহ ইউক্রেনের ৩টি জাহাজ দখল করায় আরও নিষেধাজ্ঞার পক্ষে দাবি তুলেছে ইউরোপের অনেক নেতা। ইইউর বর্তমান সভাপতি দেশ অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী কারিন ক্রেনইসি বলেন, গোটা ঘটনা সম্পর্কে আরও তথ্য ও দুই পক্ষের আচরণ বিশ্লেষণ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।  পোল্যান্ড ও অস্ট্রিয়া রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা চাপানোর পক্ষে সওয়াল করেছে। জার্মানিতেও এমন সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন। গত রবিবার ইউক্রেনের তিনটি জাহাজ আটক করে আর্থিক বাজারে আরও চাপের মুখে পড়েছে রাশিয়া। রুবেলের বিনিময় মূল্যও কিছুটা পড়ে গেছে। এই অবস্থায় নতুন নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার অর্থনীতির ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করবে। তবে বার্লিনে রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেক্সান্ডার গ্রুশকো বলেন, তার দেশের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা চাপালে কোনো সমস্যার সমাধান হবে না। তার মতে, ইউক্রেনই দেশের পূর্বাঞ্চলে মিনস্ক চুক্তি বানচাল করতে প্ররোচনা সৃষ্টি করেছে। রাশিয়ার গুপ্তচর সংস্থা এফএসবি তার প্রমাণ হিসেবে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। ইউক্রেন রাশিয়ার হামলার আশঙ্কায় সীমান্ত ও কৃষ্ণ সাগর-সংলগ্ন এলাকায় ৩০ দিনের জন্য সামরিক শাসন জারি করায় রাশিয়াও তৎপরতা বাড়াচ্ছে। আটক ২৪ জন ইউক্রেনীয় নাবিকের মধ্যে কয়েকজনকে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে স্বীকারোক্তি করতে দেখা গেছে। ক্রেমিয়ার এক আদালত ৭ জন নাবিককে ২ মাসের জন্য আটক রাখার নির্দেশ দিয়েছে। 

পুতিন ট্রাম্প বৈঠক হচ্ছে না : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইউক্রেন নিয়ে সাম্প্রতিক সংকটের কারণে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আগামী সপ্তাহে আর্জেন্টিনায় অনুষ্ঠিতব্য জি-২০ সম্মেলনে নির্ধারিত বৈঠকটি বাতিলও করে দিতে পারেন। আর্জেন্টিনার বুয়েনস আয়ার্সে শিল্পোন্নত দেশগুলোর জি-২০ সম্মেলনের সাইডলাইনে এ দুই নেতার বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। মঙ্গলবার ট্রাম্প ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন, তিনি ক্রিমিয়া উপকূলের কাছে রবিবারের ঘটনার ‘পূর্ণাঙ্গ বিবরণের’ অপেক্ষা করছেন। তার জাতীয় নিরাপত্তা দল এ প্রতিবেদন দেবে; যার ওপর ভর করেই বৈঠকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে, জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘সম্ভবত আমার সঙ্গে তার (পুতিন) বৈঠক হবে না। হয়তো আমিই আর করতে চাইব না। আমি আগ্রাসন পছন্দ করি না। আমি কোনোভাবেই আগ্রাসন চাই না।’ ট্রাম্পের এ বক্তব্যের আগেই মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিদার নয়ের্ত বলেন, তার দেশ রাশিয়ার ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেখতে চায়। ওয়াশিংটন ইউরোপীয় দেশগুলোকে ইউক্রেইনের সহায়তায় আরও বেশি কিছু করারও আহ্বান জানিয়েছে।

সর্বশেষ খবর