ভেনেজুয়েলার অপরিশোধিত পেট্রোলিয়ামের প্রধান ক্রেতা আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে আরও সংকটে পড়লো মাদুরো প্রশাসন। মাদুরো আমেরিকার বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছেন। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছাড়ার কোনো লক্ষণ দেখাচ্ছেন না। তার উপর চাপ বাড়াতে মার্কিন প্রশাসন সোমবার ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রীয় মালিকানার পেট্রোলিয়াম কোম্পানি পিডিভিসিএ-র উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। মার্কিন প্রশাসনের মতে, এর ফলে আগামী এক বছরে মাদুরো রপ্তানি বাবদ প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার থেকে বঞ্চিত হবেন। তাছাড়া এই কোম্পানি প্রায় ৭ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পত্তির নাগাল পাবে না। উল্লেখ্য, এই পদক্ষেপের ঠিক আগে স্বঘোষিত অন্তর্র্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হুয়ান গুয়াইদো জানান, সংসদ সেই কোম্পানি ও তার মার্কিন শাখার জন্য নতুন পরিচালকম লীর সদস্যদের নাম ঘোষণা করবে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পর মাদুরো দেশবাসীর উদ্দেশ্যে টেলিভিশনে এক ভাষণে আমেরিকায় ভেনেজুয়েলার পেট্রোলিয়াম কোম্পানির শাখা ‘চুরির অভিযোগ করেন। তিনি এর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের ঘোষণা করেন। সিএনএন

এদিকে মার্কিন প্রশাসন পিডিভিসিএ ও তার মার্কিন শাখার উপর নিষেধাজ্ঞা চাপালেও ভেনেজুয়েলা থেকে পেট্রোলিয়াম কেনার ক্ষেত্রে মার্কিন কোম্পানিগুলোকে কোনো বাধা দিচ্ছে না। বাণিজ্যমন্ত্রী স্টিভ মেনুশিন বলেন, ভেনেজুয়েলার জনগণ আমেরিকাকে পেট্রোলিয়াম বিক্রি করতে পারে। কিন্তু সেই তেল বিক্রির অর্থ এক ‘ব্লকড অ্যাকাউন্ট’-এ জমা হবে। অন্যথায় সে দেশ থেকে তেল কেনা হবে না। তবে পেট্রোলিয়াম-বোঝাই যেসব জাহাজ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার আগেই রওয়ানা হয়েছে, সেগুলির পথেও কোনো বাধা দেওয়া হবে না। আরও একটি বিষয়কে কেন্দ্র করে মাদুরো প্রশাসনের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংঘাতের সম্ভাবনা রয়েছে। মাদুরো প্রশাসন মার্কিন কূটনীতিকদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিলেও আমেরিকা সেই নির্দেশ মানতে নারাজ। মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ভেনেজুয়েলায় মার্কিন দূতাবাস কর্মী ও গুইয়াদোসহ বিরোধী নেতাদের নিরাপত্তার দায়িত্ব মাদুরোকেই নিতে হবে।