কোরীয় উপদ্বীপে আর বড় ধরনের যৌথ সামরিক মহড়া করবে না বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া। দক্ষিণ কোরিয়ার উদ্বেগে এ ধরনের যৌথ মহড়াগুলো নিয়ে সবসময়ই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আসছিল উত্তর কোরিয়া। এ সিদ্ধান্ত ‘কোরীয় উপদ্বীপকে সম্পূর্ণ পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করতে নেওয়া কূটনৈতিক উদ্যোগকে সফল করতে’ সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন-দক্ষিণ কোরীয় মিত্র জোটের প্রতিরক্ষা প্রধান। গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর এ ধরনের অনেকগুলো মহড়া স্থগিত করা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ মহড়াগুলোকে তাদের ওপর ‘আগ্রাসন’ চালানোর প্রস্তুতি বলে বিবেচনা করে উত্তর কোরিয়া।
এক বিবৃতিতে পেন্টাগন জানিয়েছে, শনিবার এক ফোন কলে দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীরা ধারাবাহিক যৌথ মহড়া ‘ফোল ঈগল’ ও ‘কি রিজলভ’ বন্ধের ব্যাপারে একমত হয়েছেন। যুদ্ধমহড়া বন্ধের এ সিদ্ধান্ত উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ প্রতিরক্ষাব্যবস্থাকে ঝুঁকিতে ফেলবে বলে আশঙ্কা কিছু সমালোচকের, তবে এ ধরনের উদ্বেগ ‘যৌক্তিক নয়’ বলে মত প্রকাশ করেছেন অন্যরা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ ধরনের যৌথ মহড়ার খরচ নিয়ে বেশ কয়েকবারই আপত্তি জানিয়েছেন। তবে কোরীয় উপদ্বীপ থেকে মার্কিন সৈন্য ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। দক্ষিণ কোরিয়ায় এখন প্রায় ৩০ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন আছে। গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক সম্পর্কের নাটকীয় উন্নতি ঘটতে শুরু করে। গত জুনে সিঙ্গাপুরে বৈঠকের পর এ বছর ফেব্র“য়ারিতে ভিয়েতনামে মিলিত হয়েছিলেন ট্রাম্প-কিম। কিন্তু হ্যানয়ে তাদের বৈঠক শেষ পর্যন্ত কোনো ‘চুক্তি ছাড়াই’ শেষ হয়।