পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে ‘মনোনীত’ করেছে মার্কিন পত্রিকা ক্রিশ্চিয়ান সায়েন্স মনিটর। পত্রিকার সম্পাদকীয় বোর্ড চারজনের একটি তালিকা করেছে তবে ইমান খানকে তাতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পত্রিকাটি বলেছে, ইমরান খান নোবেল পুরস্কার পেলে শান্তিবাদী নেতৃত্বের জন্য তা হবে সবচেয়ে বড় চমক এবং বিশ্বের জন্য বিরাট গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার সাম্প্রতিক উত্তেজনা সামাল দেওয়ার পর নোবেল পাওয়ার সম্ভাব্য তালিকায় ইমরান খানের নাম আনলো সায়েন্স মনিটর। পত্রিকাটি নোবেল পুরস্কারের জন্য তাকে যোগ্য হিসেবে বর্ণনা দিয়ে লিখেছে, ‘শান্তি প্রতিষ্ঠার নিদর্শন হিসেবে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান নিজের সীমানায় বিমান ভূপাতিত করে আটক পাইলট অভিনন্দন বর্তমানকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করলে পরিস্থিতির নাটকীয় পরিবর্তন ঘটে। দেশটির প্রথাগত রাজনৈতিক আচরণের সঙ্গে তার এমন সিদ্ধান্ত অনেকটা আশ্চর্যের।’
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হোক এমন দাবি করা হচ্ছে ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমানকে আটকের পর ‘শান্তি প্রতিষ্ঠার নিদর্শন’ হিসেবে ভারতের কাছে হস্তান্তর করার পর থেকে। কাশ্মীরে আত্মঘাতী বোমা হামলার পর ভারত পাকিস্তানে ঢুকে বিমান হামলা চালায়। পরে পাকিস্তানও ভারতের বিমান ভূপাতিত করে পাইলট অভিনন্দনকে আটক করে।
বিমান হামলা ও পাল্টা হামলার মুখে দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে বিদ্যমান পরিস্থিতি যখন একটা অবশ্যম্ভাবী যুদ্ধের দিকে এক পা বাড়িয়ে দিয়েছে ঠিক তখনই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দেশটির সংসদে ঘোষণা দেন ‘শান্তি প্রতিষ্ঠার নিদর্শন’ হিসেবে আটক পাইলটকে মুক্ত করে ভারতের কাছে হস্তান্তর করা হবে।বিশ্লেষকরা যখন আশঙ্কা করছিলেন দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশ একটা যুদ্ধের দিকে আগাচ্ছে তখন ইমরান খান শুধু এমন ঘোষণাই দেননি, পরদিন আটক পাইলট অভিনন্দন বর্তমানকে ভারতের কাছে হস্তান্তরও করে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ। পাইলট মুক্ত হলে দুই দেশের মধ্যে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতি শান্ত হয়ে যায়। তারপর থেকে ইমরান খানকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি উঠতে থাকে।