ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হয়েছেন তিন বছর পার হয়েছে। কিন্তু তিনিই একমাত্র প্রেসিডেন্ট যিনি তার আয়ের কোনো তথ্য বিবরণী সরকারিভাবে দায়ের করেননি। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা কম হয়নি। কিন্তু তিনি নাছোড় বান্দা। কোনো কিছুতেই তিনি তার আয়ের হিসাব দেবেন না। অবশেষে কংগ্রেস তার হিসাব জানতে সমন জারি করেছে। আর সেটিকে পুক্ত করতে এগিয়ে এসেছে দেশটির আদালত। ডিস্ট্রিক্ট অব কলাম্বিয়ার ফেডারেল আদালতের বিচারক বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আর্থিক লেনদেন তদন্ত করার পুরো অধিকার মার্কিন কংগ্রেসের রয়েছে। শুধু তাই নয়, আদালত আরও বলেছে প্রেসিডেন্ট কোনো বেআইনি কাজ করেছেন কিনা, তার দেখার দায়িত্বও কংগ্রেসের রয়েছে।
এ জন্য ট্রাম্পের আর্থিক লেনদেনের কাগজপত্র চেয়ে যে সমন তারা জারি করেছে, তাতে কোনো ভুল হয়নি।
তবে আদালতের এই বক্তব্যে যথেষ্ট চটেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ওই বিচারক বারাক ওবামার সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত একজন বিচারক। তিনি যে রায় দিয়েছেন, তা সম্পূর্ণ ভুল। হোয়াইট হাউস থেকে জানানো হয়েছে, এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে।ট্রাম্পের আর্থিক লেনদেন তদন্তের জন্য ডেমোক্র্যাটিক নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেসের নজরদারি কমিটি সপ্তাহকয়েক আগে একটি অ্যাকাউন্টিং ফার্মের কাছে সংশ্লিষ্ট নথিপত্র চেয়ে সমন জারি করেছিল। ট্রাম্পের আইনজীবীরা যুক্তি দেখিয়েছিলেন, এই নথিপত্র চাওয়ার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। এটা কংগ্রেসের বিধানিক কাজের জন্য অপরিহার্য নয়।
সোমবার বিচারপতি মেহতা সে যুক্তি খ ন করে বলেছেন, মার্কিন শাসনতন্ত্রে প্রেসিডেন্টের কার্যকলাপের ওপর নজরদারি, এমনকি তাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণের দায়িত্ব কংগ্রেসের ওপর দেওয়া হয়েছে। সেখানে কংগ্রেস তাদের তদন্তের প্রয়োজনে প্রেসিডেন্টের কাছে প্রয়োজনীয় নথিপত্র চাইতে পারবে না, এমন কথা বলার কোনো যুক্তিই নেই। তবে অ্যাকাউন্টিং ফার্মটি জানিয়েছে, তারা বিচারিক সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান দেখাবে এবং কংগ্রেসের সঙ্গে সহযোগিতা করবে।