ইরান বলছে চিকিৎসাসামগ্রী বিশেষ ছাড় পাওয়ার কথা থাকলেও নিষেধাজ্ঞার কারণে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ পাচ্ছে না তারা। যদিও ওয়াশিংটন এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। ইরানের জন্য আমেরিকার বিশেষ প্রতিনিধি ব্রায়ান হুক বলেছেন, ‘ইরানের জনগণের জন্য যুক্তরাষ্ট্র ওষুধ ও চিকিৎসাসামগ্রী নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে রেখেছে।’ যদিও ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলছেন, ফার্মাসিউটিক্যালসের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়েছে। কারণ ওষুধ কিনতে আর্থিক লেনদেনের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। প্রয়োজনীয় প্রায় সব মৌলিক ওষুধ ইরান নিজে উৎপাদন করে কিন্তু যখন অ্যাডভান্সড মেডিসিনের প্রসঙ্গ আসে তখন দেশটিকে আমদানির ওপরই নির্ভর করতে হয়। এক হিসাবে দেখা যায়, ইরানের প্রয়োজনীয় ওষুধের চার শতাংশ তাদের বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। ইরান জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার কারণে অচেতন করা, ক্যান্সার চিকিৎসা ও ডায়াবেটিসের ওষুধ পাওয়াটাই কঠিন হয়ে উঠেছে। এ ছাড়া ইরান সরকারের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে স্বাস্থ্য ও মেডিকেল সেবার খরচ বেড়েছে ১৯ শতাংশ।