সৌদি আরবের আকাশ ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করতে সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। মূলত সৌদির তেল শোধনাগারে গত সপ্তাহের হামলার পর দেশটিতে মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন। শুক্রবার এক ঘোষণায় মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার উপসাগরে নতুন করে সেনা পাঠানোর এ পরিকল্পনার কথা জানান। সেনা মোতায়েনের এ ধরন হবে ‘প্রতিরক্ষামূলক’, বলেছেন তিনি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল শোধনাগারসহ সৌদি আরবের দুটি প্লান্টে ভয়াবহ হামলার পর এ নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এই সিদ্ধান্ত নিল। হামলার পর বৈশ্বিক তেল সরবরাহের পরিমাণ ৫ শতাংশের বেশি হ্রাস পায়; বেড়ে যায় তেলের দামও। সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা হলেও প্রাথমিকভাবে কত সংখ্যক পাঠানো হবে তা নিয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি। ইরান সমর্থিত হুতিরা সৌদি আরবের তেল শিল্পক্ষেত্রে গত সপ্তাহের এ ভয়াবহ হামলার দায় স্বীকার করলেও ওয়াশিংটন ও রিয়াদ এর জন্য তেহরানকে অভিযুক্ত করছে। এসপারের ঘোষণার আগে শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চমাত্রার নিষেধাজ্ঞা’ আরোপেরও ঘোষণা দেন। সৌদি আরবে হামলার প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের হাতে সব ধরনের বিকল্প আছে- এমনটা বলার পর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়ে তিনি সামরিক পদক্ষেপ এড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে ধারণা পর্যবেক্ষকদের। নতুন এ নিষেধাজ্ঞার নজর ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সার্বভৌম অর্থ তহবিলের ওপর থাকছে বলেও ট্রাম্প জানিয়েছেন। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এসপার জয়েন্ট চিপস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল ডানফোর্ড জুনিয়রকে সঙ্গে নিয়ে সৌদি আরবে মার্কিন সেনা পাঠানোর পরিকল্পনার কথা জানান। সৌদিতে হামলা বন্ধের ঘোষণা হুতিদের : সৌদি আরবে যে কোনো ধরনের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। সৌদি আরবের দুটি তেল শোধনাগারে ড্রোন হামলা চালানোর এক সপ্তাহ পর শুক্রবার এ ঘোষণা দিল হুতিরা। বিবিসি।