রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

ইরাকে দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভ চলছেই

সহিংসতায় নিহত ৯৩

ইরাকে দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভ চলছেই

মধ্যপ্রাচ্যের সমৃদ্ধ দেশ ছিল ইরাক। এখন দেশটিতে চলছে অস্থিরতা। চাকরির সংকট, নিম্নমানের পরিষেবা ও সরকারি কর্মকর্তাদের সীমাহীন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনসাধারণের টানা কয়েকদিনের বিক্ষোভ-সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা ৯৩-এ পৌঁছেছে বলে দেশটির নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। ক্ষোভ প্রশমনে সরকারের ব্যর্থতার তীব্র সমালোচনা করে প্রভাবশালী শিয়া নেতা মুকতাদা আল সদর পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে আগাম নির্বাচনের দাবি তুলেছেন, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সরকার সব ইরাকির প্রয়োজন মেটানোর উপযুক্ত কোনো কর্মসূচি হাতে না নেওয়া পর্যন্ত অনুসারী সংসদ সদস্যদের পার্লামেন্ট বয়কটেরও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সদরের এ অবস্থান ইরাকজুড়ে বিক্ষোভের ধার আরও বাড়িয়ে তুলবে বলেই মনে করা হচ্ছে। ‘ইরাকিদের রক্তের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে সরকারের পদত্যাগ ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের দেখভালে নতুন নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া উচিত’, বিবৃতিতে বলেছে প্রভাবশালী এই শিয়া নেতার কার্যালয়। তিন দিনের বিক্ষোভ-সহিংসতায় ১৯০ জনের বেশি আহত হওয়ার পর শুক্রবার ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদি আন্দোলনকারীদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। এদিন তিনি বাগদাদের কারফিউ তুলে নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে আলজাজিরা। গত মঙ্গলবার শুরু হওয়া বিক্ষোভ-সহিংসতায় শুক্রবারই বেশি হতাহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো। ইরাকের সামরিক বাহিনী এদিন ‘অজ্ঞাত স্নাইপারদের’ গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ চারজন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে। বাগদাদে পুলিশের সঙ্গে সহিংসতার পর মাথায় গুলিবিদ্ধ এক বিক্ষোভকারীকে রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেছেন রয়টার্সের এক প্রতিবেদক। চিকিৎসকরা পরে ওই বিক্ষোভকারীকে মৃত ঘোষণা করেন। রয়টার্সের এক টেলিভিশন ক্রুও ঘাড়ে স্নাইপারের গুলিতে আহত এক বিক্ষোভকারীকে দেখেছেন। এনডিটিভি

 শুক্রবার রাতেও বাগদাদের অনেক এলাকায় গুলির শব্দ পাওয়া গেছে। এদিন দক্ষিণের শহর দিওয়ানিয়ায় প্রাদেশিক সরকারের সদর দফতরে হানা দেওয়া বিক্ষোভকারীদের দিকে পুলিশ গুলি ছুড়লে তিনজন নিহত হয়।

বিক্ষোভকারীদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়েছেন ইরাকে শিয়াদের সবচেয়ে প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত আয়াতুল্লাহ সাইয়েদ আলি হুসাইনি সিস্তানি। ‘যা ঘটছে, তার জন্য পার্লামেন্টই সবচেয়ে বেশি দায়ী’, বলেছেন তিনি। ইরাকের পার্লামেন্টের স্পিকার মুহাম্মদ আল হালবুসি জনসাধারণের এ বিক্ষোভকে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিপ্লব’ আখ্যা দিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর