মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসন তদন্তে তার সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির জেলেনস্কির ফোনালাপ সংক্রান্ত নথিপত্র হোয়াইট হাউসের কাছে চেয়েছে প্রতিনিধি পরিষদের তিনটি কমিটি। শুক্রবার এক চিঠিতে মার্কিন কংগ্রেসের পররাষ্ট্র, গোয়েন্দা ও ওভারসাইট কমিটির চেয়ারম্যানরা ১৮ অক্টোবরের মধ্যে ওই নথিপত্র দিতে সময় বেঁধে দিয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। তবে হাউসের প্রেস সেক্রেটারি স্টেফানি গ্রিশাম বলেছেন, ডেমোক্র্যাটদের এমন চাপেও ‘কোনো কিছু বদলাবে না’। জেলেনস্কির সঙ্গে ২৫ জুলাইয়ের ওই ফোনালাপে ট্রাম্প সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার ছেলে হান্টারের দুর্নীতি তদন্তে চাপ দিয়েছিলেন বলে পরে মার্কিন প্রশাসনের এক নথিতেও উন্মোচিত হয়েছে। ফোনালাপের কয়েকদিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনে ৪০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা আটকে দিয়েছিলেন। বাইডেন ও তার ছেলের বিরুদ্ধে তদন্তের ব্যাপারে জেলেনস্কির সঙ্গে দরকষাকষির অংশ হিসেবেই ট্রাম্প এমনটা করেছিলেন বলে দাবি সমালোচকদের।
২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে জনমত জরিপে বাইডেন অনেকটা এগিয়ে আছেন। সম্ভাব্য প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতেই ট্রাম্প ওই পথ বেছে নিয়েছিলেন বলে ধারণা অনেকের। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ব্যক্তিস্বার্থে বিদেশি একটি রাষ্ট্রকে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে হস্তক্ষেপের পথ করে দিয়েছেন বলেও ডেমোক্র্যাটরা অভিযোগ করছেন। হোয়াইট হাউসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা ট্রাম্প-জেলেনস্কির ওই ফোনালাপ গোপন করতে চেয়েছিল, এক হুইসেলব্লোয়ারের এমন অভিযোগের সূত্র ধরেই কংগ্রেসনাল কমিটিগুলো প্রেসিডেন্টকে অভিশংসনের তদন্তে নামে। জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপে বাইডেনের দুর্নীতি তদন্ত নিয়ে কথোপকথনের বিষয়টি স্বীকার করলেও দরকষাকষির অংশ হিসেবে ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা আটকে দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন ট্রাম্প। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা আরেকটি ‘উইচ হান্ট’ শুরু করেছে বলে পাল্টা অভিযোগও করেছেন এ রিপাবলিকান। জুলাইয়ে আটকে দিলেও মার্কিন প্রশাসন পরে ইউক্রেনে সামরিক সহায়তার অর্থ ছাড় করে। ‘আমরা দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, প্রেসিডেন্ট আমাদেরকে ও সমগ্র দেশকে এ অবস্থানে নিয়ে এসেছেন, তার কর্মকান্ড পরোয়ানা জারি ছাড়া অন্য কোনো সুযোগ রাখেনি,’ কয়েক দফা অনুরোধ জানিয়েও হোয়াইট হাউস থেকে ট্রাম্প-জেলেনস্কির ফোনালাপ সংক্রান্ত তথ্য না পেয়ে পরোয়ানা জারিতে বাধ্য হওয়ার কথা উল্লেখ করে চিঠিতে লিখেছেন কংগ্রেসনাল ৩ কমিটির ডেমোক্র্যাট প্রধানরা।
ট্রাম্পের নির্বাচনী শিবিরে হ্যাকারদের হামলা : ইরান সরকারের সঙ্গে যোগসাজশ আছে সন্দেহভাজন এমন একটি হ্যাকার গোষ্ঠী ২০২০ সালের আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া এক প্রার্থীর প্রচারণা শিবির লক্ষ্য করে সাইবার হামলা চালিয়েও ব্যর্থ হয়েছে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট।