ইউএস সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া এক রায়ের ফলে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় হয়েছে। আদালতের এ রায়ে মেক্সিকো অথবা কানাডা হয়ে বেআইনি পথে যুক্তরাষ্ট্রে আসা রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থীদের ফেরত পাঠিয়ে দেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এটিই চাচ্ছিলেন। কিন্তু আসন্ন নির্বাচনে এ রায় তার জন্য বুমেরাং হতে পারে। গরম হয়ে উঠতে পারে ভোটের মাঠ। এ বিষয়ে নিউইয়র্কের খ্যাতনামা ইমিগ্রেশন এটর্নি এবং ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার মঈন চৌধুরী গত ২৭ জুন রাতে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হচ্ছেন অভিবাসন বিরোধী। তিনি সবসময় চেষ্টা করছেন অভিবাসন বন্ধ করতে। অথচ অভিবাসীদের রক্ত-ঘামেই যুক্তরাষ্ট্র আজ বিশ্বের শ্রেষ্ঠ একটি দেশে পরিণত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানেও অভিবাসনের নানা অধিকার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সবকিছুকে ট্রাম্প পাল্টে দিতে চাচ্ছেন। এ অবস্থায় ৩ নভেম্বরের নির্বাচনে ট্রাম্পকে পরাজিত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’ পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই আহ্বানে সাড়া মিললে, তা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভোটের ময়দানকে সরগরম করে তুলবে।
উল্লেখ্য, ইউএস সুপ্রিম কোর্ট রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা বা এসাইলাম চাইবার সুযোগ খর্ব করে দেওয়ায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন বিরোধী মনোভাবের আরেক দফা জয় ঘটল বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এ রায়ে আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়সহ অভিবাসীদের অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে কর্মরতরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কমিউনিটিতেও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। প্রবাসীদের মধ্যে এই রায়ের অপব্যাখ্যার ঘটনাও ঘটেছে।
কেউ কেউ উল্লেখ করেছেন যে, এসাইলাম প্রার্থনাকারীরা গ্রিনকার্ড পাবেন না। তাদেরকে স্বল্পতম সময়ে নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। যদিও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার মঈন চৌধুরী বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টে প্রদত্ত রায়ের আওতায় কেবলমাত্র তারাই রয়েছেন যারা সীমান্ত দিয়ে বেআইনিভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের পর এসাইলাম চেয়েছেন। যারা বিভিন্ন ভিসায় বৈধ পথে এসে এসাইলাম প্রার্থনা করেছেন তাদের ব্যাপারে ওই রায় প্রযোজ্য হবে না।’ মঈন চৌধুরী বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন, ‘সীমান্ত অতিক্রমের পরই আইস অথবা সীমান্ত রক্ষীর কাছে এসাইলাম প্রার্থনার পর ইমিগ্রেশন অফিসারের কাছে তা উপস্থাপন করতে হয়। সে সময় যদি আবেদনকারী ওই অফিসারকে কনভিন্স করতে সক্ষম না হন যে- দেশে ফিরিয়ে দিলে নিশ্চিত তাকে খুন অথবা অকথ্য নির্যাতনের শিকার হতে হবে, তাহলেই তাকে স্বল্পতম সময়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কার করা হবে।’ তিনি জানান, যারা বৈধ ভিসায় আসার পর এসাইলাম চেয়েছেন এবং এখনো সে আবেদন পেন্ডিং রয়েছে, তাদের দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। করোনাভাইরাসের তা-বকে ইমিগ্রেশন কোর্টে পেন্ডিং মামলাগুলোও স্থগিত রয়েছে। কোনো শুনানি হচ্ছে না।