ভারত সীমান্তের তিনটি এলাকাকে নিজ দেশের মানচিত্রে অন্তর্ভুক্ত করে রীতিমতো হইচই ফেলেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী খাগড়া প্রসাদ শর্মা ওলি। এখন তার পদত্যাগের দাবি নিজ দলের ভিতরেই জোরালো হচ্ছে। সাবেক মাওবাদী নেতা ও বর্তমানে নেপালের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির দলীয় প্রধান পুষ্প কুমার দহাল প্রচন্ডই কেপি ওলি’র বিরুদ্ধে কলকাঠি নাড়ছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে পুরো বিষয়টিতে তীক্ষ নজর রাখছে প্রতিবেশী ভারত। যদিও এক্ষেত্রে ভারতের সম্মতি আছে বলে মনে করা হচ্ছে। গতকাল বালুওয়াটারে অলি বলেন, ‘তাকে সরানোর জন্য দিল্লি ও কাঠমান্ডুতে ষড়যন্ত্র চলছে। নেপালের নতুন রাজনৈতিক মানচিত্র গ্রহণের কারণে তাকে হঠানোর চেষ্টা করছেন অনেকেই।’ খবর কাঠমান্ডু পোস্ট দিল্লির গণমাধ্যমের প্রতিবেদন, দূতাবাসের কার্যক্রম এবং কাঠমান্ডুর বিভিন্ন হোটেলে বৈঠকের ঘটনায় বুঝতে অসুবিধা হয় না যে আমাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে অনেকেই সক্রিয় রয়েছে। তবে তারা সফল হবে না।’ গতকাল বালুওয়াটারে মদন বান্ডারি ফাউন্ডেশনের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ওলি এ দাবি করেন। খবর কাঠমান্ডু পোস্ট।
নেপালে বর্তমান শাসক দল কমিউনিস্ট পার্টি গঠনকালে দুটি অংশ ছিল সিপিএন-ইউএমএল আর মাওয়িস্ট সেন্টার। প্রথমটির নেতৃত্বে ছিলেন কেপি ওলি আর দ্বিতীয়টির প্রচন্ড। ২৭৫ আসনের পার্লামেন্টে এই দলে মোট ১৭৪ জন এমপি আছেন, যার মধ্যে সিপিএন-ইউএমএলের ১২১ জন আর মাওয়িস্ট সেন্টারের ৫৩ জন, আর এই দুই দলের সংযুক্তির মাধ্যমেই সভায় কমিউনিস্টদের গরিষ্ঠতা নিশ্চিত হয়েছিল। দুই পার্টির সংযুক্তির সময় ঠিক করা হয়েছিল, কে পি ওলি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকারি ও প্রশাসনিক কাজকর্ম দেখবেন, দলের কাজকর্মে হস্তক্ষেপ করবে না। আর প্রচন্ড দলীয় প্রধান হিসেবে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির যাবতীয় কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণ করবেন।