বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই, ২০২০ ০০:০০ টা

সাগরে চীনের আগ্রাসন হুঁশিয়ারি জাপানের

সাগরে চীনের আগ্রাসন হুঁশিয়ারি জাপানের

দক্ষিণ চীন সাগরে চীন একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করতে চায়। কিন্তু চীনের এই মনোভাবের তীব্র সমালোচনা করে এটা প্রতিহতেরও ঘোষণা দেন। বার্ষিক সেনা প্রতিবেদনে টোকিও জানিয়েছে, দক্ষিণ চীন সাগর চীনের একার নয়, সেটা হতেও দেওয়া হবে না। তাই সতর্ক থাকুক চীন। কোনোভাবেই আগ্রাসনের মনোভাব মেনে নেওয়া হবে না। গতকাল জাপান অভিযোগ করেছে, ক্রমাগত দক্ষিণ চীন সাগরের রাজনৈতিক স্থিতাবস্থা নষ্ট করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চীন। শুধু দক্ষিণ চীন সাগরই নয়, পূর্ব চীন সাগরেও চীনের একই ভূমিকা ক্ষুব্ধ করেছে জাপানকে। পাশাপাশি, জাপানের আওতাধীন স্রেনকুকু দ্বীপেও চীন হাত বাড়ানোর  চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ জাপানের। এদিন তারা জানিয়েছে চীনের এই আগ্রাসনের ফল খুব একটা ভালো হবে না। জাপানের বার্ষিক সেনা রিপোর্ট বলছে স্রেনকুকু দ্বীপে ক্রমাগত অনধিকার প্রবেশ ঘটাতে চাইছে চীন। একাধিকবার এই দ্বীপে চীনা নৌবাহিনী ও চীনা বিমান বাহিনীর বিমান দেখা গেছে। শুধু জাপানই নয়, ইন্দো প্যাসিফিক এলাকায় চীনের বাড়াবাড়ির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়াও।

যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, বেইজিং যদি ভাবে তারা দক্ষিণ চীন সমুদ্রের একচ্ছত্র সম্রাট, তবে তারা খুব ভুল করছে। আমেরিকা তো এটা মানবেই না, উপরন্তু দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অন্যান্য বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সার্বভৌমত্ব জলপথে ক্ষুণœ হলেও আমরা চুপ করে থাকব না। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও মঙ্গলবার এ বিষয়ে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। আর তা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

ইতিমধ্যে পম্পেওর এহেন হুঁশিয়ারিকে সমর্থন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর ফলে দক্ষিণ চীন সাগরকে ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। দক্ষিণ চীন সাগর এবং হংকং ইস্যুতে নতুন করে তৈরি হয়েছে উত্তেজনা। চীন এবং আমেরিকার মধ্যে হুঁশিয়ারি এবং পাল্টা হুঁশিয়ারি চলছে। সামরিক পর্যবেক্ষকরা জানাচ্ছেন, পম্পেও যেভাবে হুঁশিয়ারি দিচ্ছে তাতে দুই দেশের উত্তেজনাকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে। প্রকাশিত তথ্য বলছে, ১৯৪৭ সালে তৈরি চীনা কার্টোগ্রাফিক ইনস্ক্রিপশনের ‘নাইন ড্যাশড লাইন’ অনুসারেই দক্ষিণ চীন সাগরের ৯০ শতাংশ নিজের দখলে রাখতে চায় চীন। কিন্তু পম্পেও বলছেন, ১৯৮২ সালের ল অব সি কনভেনশনের সংশোধনী অনুসারে ২০১৬ সালেই সমুদ্র নিয়ন্ত্রণের আগের অধিকার খুইয়েছে চীন। এদিকে, চলতি মাসের শুরুতেই চীনের প্রেসিডেন্ট জিংপিংয়ের সফর বাতিল করে দেয় টোকিও।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর