ভারত থেকে কেনা ডুবোজাহাজটি মিয়ানমারের নৌবাহিনী গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে প্রথমবারের মতো মহড়ায় ব্যবহার করেছে। সে দেশের সিনিয়র জেনারেলরা ওই মহড়া প্রত্যক্ষ করেন।
চীন ও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক সত্ত্বেও মিয়ানমার কেন ওই দুই দেশের থেকে না কিনে ভারত থেকে ডুবোজাহানটি কিনল? ‘ইকোনমিক টাইমস’ জানায়, কেনার নেপথ্যে কাজ করেছে ৩টি কারণ।
প্রথমত, মিয়ানমার দেখাতে চায় যত সখ্য আর নির্ভরতাই থাকুক স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তার রয়েছে। দ্বিতীয়ত, ডুবোজাহাজটির দাম যৌক্তিক। তৃতীয়ত, ক্রয়োত্তর সেবা প্রদানের শর্তগুলো মিয়ানমারের পছন্দসই।মহড়ায় অংশ নেওয়ার আগে ডুবোজাহাজটির নাম দেওয়া হয়- ‘মিন ইয়ে থেইন খা থু’। এই নামে প্রাচীনকালে একজন বর্মি যোদ্ধা ছিলেন। ডুবোজাহাজটি মূলত সোভিয়েত নির্মিত ‘কিলো-ক্লাস সাবমেরিন’। হিন্দুস্তান শিপইয়ার্ডে পুনঃনবায়ন করার পর তাকে মিয়ানমারের কাছে দেওয়া হয়েছে।
২০০৫ সালে ডুবোজাহাজটি কেনার সম্ভাবতা যাচাই শুরু করে মিয়ানমার এবং প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে নৌ অফিসার পাঠায় ২০০৭ সালে।
মূল্যটাই প্রাধান্য পায় ক্রয় বিবেচনার সময়। তাই ভারত থেকে কেনার সিদ্ধান্ত হয়। উত্তর কোরিয়া থেকে কেনাটা বর্তমান পরিস্থিতিতে ঝুঁকিপূর্ণ মনে হয়েছে। চীনও চেষ্টা করেছিল বিক্রির জন্য তাদের প্রস্তাবে ছিল : মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য চীনা টেকনিশিয়ান রাখতে হবে। একটা ডকও তারা বানিয়ে দেবে। মিয়ানমারের মিলিটারির কাছে এসব শর্ত ভালো মনে হয়নি।