ভারত-জাপান যৌথভাবে ব্রহ্মপুত্র নদকে কেন্দ্র করে ‘পূর্বাঞ্চল জলপথ পরিবহন’ গড়ে তুলছে। এই জলপথ ভারত-বাংলাদেশ-মিয়ানমারকে সংযুক্ত করবে। এর ফলে এসব দেশে পণ্য আমদানি-রপ্তানি হবে বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটান থেকে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শংকর গতকাল গৌহাটিতে ‘ভারতের অ্যাকট ইস্ট নীতি এবং ভারত-জাপান সহযোগিতা শীর্ষক আলোচনায় অংশ নিয়ে এই তথ্য দেন। এখানে জাপানের রাষ্ট্রদূত সন্তোসি সুজুকি, আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল, অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্র্মা উপস্থিত ছিলেন। ভারত ও জাপান দুই বছর আগেই ভারত-জাপান এবং তৃতীয় দেশে পরিকাঠামো উন্নয়ন নিয়ে মঞ্চ গড়ে।
পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ব্রহ্মপুত্রকে প্রধান পরিবহন চ্যানেল করা হবে, যাতে আসাম থেকে বাংলাদেশের মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর পর্যন্ত জলপথে যোগাযোগ গড়ে ওঠে।’ তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় পূর্বাঞ্চল জলপথ গ্রিড তৈরি হবে যাতে ভুটান ও বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি করা যায়। বাংলাদেশের আশুগঞ্জের বন্দর পরিকাঠামো গড়ে তোলা হচ্ছে যাতে দক্ষিণ আসাম থেকে সংযোগ গড়ে ওঠে। এতে ভারত-বাংলাদেশ এক বাণিজ্য হাব গড়ে তুলতে পারবে। এ জন্য ব্রহ্মপুত্র ও কুশিয়ারা নদীর নাব্য বাড়ানো হচ্ছে যাতে পণ্যবাহী জাহাজ চলতে পারে।
একই সঙ্গে তিনি বিদ্যুৎ কানেকটিভিটি প্রকল্পের কথা বলেন। আসাম থেকে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে বিহার পর্যন্ত গ্রিড তৈরি হবে। এতে বাংলাদেশও লাভবান হবে। তিনি বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে যেমন আলোচনা চলছে, উদ্বৃত্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করার তেমনি মিয়ানমারের নতুন তেল ও গ্যাস ভান্ডার খোঁজার কাজ চলছে। একইভাবে আসাম থেকে বাংলাদেশে ডিজেল পাইপলাইন গড়ে তোলা হচ্ছে, যা অদূরভবিষ্যতে ‘গেম চেঞ্জার’ হবে এই উপমহাদেশে। তিনি এ প্রসঙ্গে ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড হাইওয়ের কথা তোলেন। এ প্রকল্পে যোগ দিতে চায় বাংলাদেশ। সূত্র জানায়, জয়শংকর মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে যখন ঢাকা যাবেন তখন এ বিষয়ে চূড়ান্ত কথা হবে।