মিয়ানমারে জান্তা শাসকের দমন-পীড়ন ও হামলায় বেশ কিছু লোকের প্রাণহানির পর গতকাল আবারও রাস্তায় নেমেছে গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভকারীরা।
এদিকে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ বিক্ষোভকারীদের ওপর নৃশংস সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। জাতিসংঘের হিসাব মতে, বুধবারের সহিংস হামলায় অন্তত ৩৮ জন নিহত হয়েছে। অনলাইন ফুটেজে বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে নিরাপত্তা বাহিনীকে গুলি চালাতে দেখা গেছে। এ প্রেক্ষাপটে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নিডপ্রাইস বলেছেন, আমরা সব দেশের প্রতি এক সুরে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বর্বরতার নিন্দা জানানোর আহ্বান জানাচ্ছি। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ অবিলম্বে এ দমন-পীড়ন বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। দেশটিতে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে এ পর্যন্ত ৫০ জনেরও বেশি লোক নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় প্রাণ হারিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিক্ষোভকারীরা ইয়াংগুন ও মান্দালয়ে আবারও বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু করেছে। জান্তা কর্তৃপক্ষ তাদের দমন-পীড়ন বিশ্ব থেকে আড়াল করার প্রচেষ্টায় ইন্টারনেট বন্ধ ও ফেসবুক নিষিদ্ধ করেছে। এদিকে সম্প্রতি ছয় সাংবাদিককে গ্রেফতার ও তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি, প্রেসিডেন্ট ইউ উইনমিন্টসহ ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) আরও কয়েকজন সিনিয়র নেতাকে আটক করে। গত নবেম্বরের নির্বাচনে অং সান সুচির এনএলডি সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। কিন্তু সেনাবাহিনী নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তোলে। ওই দিন নবনির্বাচিত সংসদের প্রথম বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেনাবাহিনী অধিবেশন স্থগিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল।
বৈঠক শুরুর প্রাক্কালে তাদের গ্রেফতার করা হয়।সুচি(৭৫) দেশটির বিচ্ছিন্ন রাজধানী নেপিদোতে আটক রয়েছেন বলে জানা গেছে। সেনাবাহিনী এর আগে তাদের কয়েক দশকব্যাপী ক্ষমতায় থাকাকালে এই রাজধানী নির্মাণ করে।